সেলফি পরিবহনের বাসচাপায় সাবেক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এখনো আটকে আছে পরিবহনটির ১৬ বাস।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গিয়ে এমনটা দেখা যায়। এ সময় কয়েকটি বাস চালকের সহকারীকে পরিষ্কার করতেও দেখা যায়।
লিটন মিয়া নামে চালকের এক সহকারী বলেন, তিন দিন ধরে বাসগুলোকে আটকে রাখা হয়েছে। শুক্রবার কয়েকটি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে আটকে থাকা বাসেই ঘুমাচ্ছি। তবে কবে নাগাদ বিষয়টির সমাধান হবে জানি না।
এদিকে শুক্রবার সেলফি পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন করেছেন সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা স্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তিন পথচারীকে চাপা দেয় সেলফি পরিবহনের একটি বাস। এতে দুজন নিহত হন। তাদের মধ্যে মো. রুবেল পারভেজ নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীও ছিলেন। তিনি ৪১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তও ছিলেন। খবরটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাস আটকাতে শুরু করেন। একে একে সেলফি পরিবহনের ২৫টি বাস আটকান তারা। যদিও শুক্রবার ৯টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. রনি হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীরা মালিকপক্ষের কাছে নিহত রুবেল পারভেজের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও সেলফি পরিবহনের রুট পারমিট বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা হাইওয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।