ভালোবাসা দিবসে জবি ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা


Desk report | Published: 2024-02-16 20:57:39 BdST | Updated: 2024-04-28 02:20:03 BdST

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজার দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই গ্রুপের দফায় দফায় মারামারির ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে দুই গ্রুপের ১৬ জন নেতাকর্মীকে আসামি ও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পাল্টাপাল্টি মামলার বিষয়টি শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম। মামলা দুটির নম্বর হলো ১০ ও ১১। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মামলা দুইটির মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবিদ ইশরাক নিলয় বাদী হয়ে মামলা করেন। তিনি মামলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন গ্রুপের ৯ নেতাকর্মীকে আসামি করেন।

আসামিরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মুকিত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিব তালুকদার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জয় সরকার অর্জুন, নিরব, ব্যবস্থাপনা বিভাগের হৃদয় রানা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আরাফাত, অপু সাহা, সাজিদ ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সোহান। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক আকতার গ্রুপের মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে সভাপতি গ্রুপের সাতজনকে আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক মায়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য পারিজাত বিশ্বাস, ছাত্রলীগের কর্মী নৃবিজ্ঞান বিভাগের গাজী শামসুল হুদা, রাহুল আমিন, রিয়াদ আফ্রিদি ও ইতিহাস বিভাগের চয়েন দাস। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে দুই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রথম মামলার বাদী আবিদসহ ৫/৬ জন সহপাঠী নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্টার কাবাব হোটেলে যাবার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক সদরঘাট শাখার সামনে আসামি মুকিত, আরাফাত, সোহান, জয়, অপু, নিরব, রাকিব, হৃদয়, সাজিদসহ ২০/২৫ জন পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, স্টিলের পাইপ, হাতুরীসহ আমাদের ওপর হামলা করে। এতে বাদী, তার বন্ধু ইসমাইল হোসেন তাফসির ও বড় ভাই বাতেন বিল্লাহ গুরুতর জখমসহ আহত হয়। এ ঘটনার পরে বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটের দিকে ভিক্টোরিয়া পার্ক জামে মসজিদের সামনে আরেক মামলার বাদী মাহমুদুর রহমানসহ তার বন্ধুরা আড্ডা দেয়ার সময় আসামি গাজী শামসুল, চয়েন, পারিদাস, প্রান্ত, রাহুল, মায়েল রিয়াদসহ ২০/২৫ জন হামলা করে। এতে মাহমুদুরসহ কয়েকজন আহত হয়।

মারামারির সূত্রপাত বিষয়ে জানা যায়, এর আগে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এর আগে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিবাদ বাঁধে। এ ঘটনার সূত্রপাতে কয়েকদিন ধরেই ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপ ও সাধারণ সম্পাদক দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হুমকি ধমকি ও ছোট বিবাদ করে আসছিল। পরবর্তীতে সরস্বতী পূজার দিন এ বিবাদ বড় মারামারিতে রূপ নেয়।

উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি জবি শাখা ছাত্রলীগ।