ইবিতে কর্মকর্তা ও শিক্ষক সমমর্যাদার: প্রধান সমন্বয়ক


Shakib Aslam | Published: 2024-04-27 23:01:26 BdST | Updated: 2024-05-10 03:27:21 BdST

পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক ছিলো কি-না তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছে তা নয় বরং যতো কর্মকর্তা সবাই পরিদর্শক। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। সম্মিলিত গুচ্ছ ২০২৩-২৪ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের ক (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষক বিহীন কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো: মনজুরুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবে। কারণ আমাদের যত সংখ্যক শিক্ষক সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন ছিলো না কোনো শিক্ষক। উক্ত রুমে পরীক্ষা চলাকালীন ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারগণ।

প্রধান পরিদর্শক মো: তহিদুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। তাই ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে এটা তো জোরজবরদস্তির কোন বিষয় নয় যে কোন শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ক (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৪৪২ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আগামী ০৩ মে বি (মানবিক) এবং ১০ মে সি ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।