নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন


Aslam Begg | Published: 2024-03-07 17:17:20 BdST | Updated: 2024-04-28 07:01:56 BdST

৭ মার্চের ভাষণের ফসল মূলত আমাদের মুক্তি সংগ্রামের, মুক্তি যুদ্ধের দিক নির্দেশনা মন্তব্য করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, ৭ মার্চ সৃষ্টি হয়েছিল বলে আমরা পরবর্তীতে পেয়েছি ২৬ মার্চ, ২৬ মার্চ পেয়েছি বলে আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর। আর ১৬ ডিসেম্বর পেয়েছি বলে আমরা আজকে যে যার অবস্থানে রয়েছি। একারণে আমাদের দায়িত্ব হলো- এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: স্বাধীনতার দিক দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনীয়তায় ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় মাননীয় উপাচার্য আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের শুরুতে বাঙালির বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেছেন, এরপর বাঙালিদের আত্মত্যাগ, রক্তদানের কথা বর্ণণা করেছেন। এরপর তিনি চলমান আন্দোলন সংগ্রামে প্রবেশ করেছেন। এরপরে আমাদের করণীয় সম্পর্কে তিনি সুস্পট নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অনেক সুন্দর করে তিনি সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

৭ মার্চের ভাষণের মূল্যায়নে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শুধু আজকের প্রেক্ষিতে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। বরং ব্যাখ্যা করতে হবে ওই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। কারণ পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু একটি ‘সময় বোমা’র বিস্ফোরণ করেছিলেন। এই সময় বোমাটির খুব প্রয়োজন ছিল তখন।