৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল বেরোবির উপাচার্যসহ কর্মচারী-কর্মকর্তা


Md Abul Khayer Jayed | Published: 2024-05-06 22:14:27 BdST | Updated: 2024-05-19 14:01:22 BdST

দ্বিতীয় দিনের মতো রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছিল গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্যসহ ৩০০ জন কর্মচারী, কর্মকর্তা প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল।

আজ সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সকল গেইট বন্ধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে প্রসাশন ভবন থেকে কোন কর্মচারী, কর্মকর্তা প্রবেশ বা বের হতে পারে না। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ সাথে দেখা করবে তার সাথে সরাসরি কথা বলবে।

অফিস সময় পার ভিতরে থাকা কর্মচারী কর্মকর্তা বাহিরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা কাটাকাটি করে। বের না হতে পেরে ভিসির অফিসে রুমে যায় কর্মচারী কর্মকর্তারা। এর পর বিকাল সাড়ে ৫ টায় সময় ভিসি আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা এবং কথা বলতে আসে। ৭ দিনের মধ্যে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেয় না। তখন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন। তখন প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হতে চেয়ে ছিলেন ভিসি কিন্তু শিক্ষার্থীরা তখন বাধা দেয়।



বের না হতে পরে অফিস রুমে চলে যাচ্ছিল, হঠাৎ করে বেরোবি ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি এবং সেক্রেটারি জোরপূর্বক গেইট খুলে ভিসিকে হাতে ধরে বাহিরে বের করে নিয়ে যায় এবং এই অবরোধ শেষ হয়।

গতকাল ৫ই মে শিক্ষার্থীর ভিসি অফিস ঘেরাও এবং প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলন শুরু করেছিল। আজ অফিস টাইম শুরু হওয়ার আগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু উক্ত সময়ের মধ্যে বিভাগীয় নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবার আন্দোলন শুরু করে।

গত ১০ ই মার্চ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার মেয়াদ শেষ করেন। এর পর সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সে বিভাগীয় প্রধানের পদে যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করায় দ্বিতীয়বার অন্য একজন সহকারী অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তৃতীয় বার আরেক শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় কিন্তু সেও দায়িত্ব গ্রহন করে নাই।

প্রায় দুই মাস বিভাগীয় পদ খালি থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জটিলতায় পড়েন , প্রশাসনিক ক্লাস-পরীক্ষার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে আছে প্রশাসনিক কাজকর্মও। এই সব জটিলতা মুক্তি পেতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া হক পরিক্ষাসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হোক। আপর দিকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ বলে,"আমি দ্রুত নিয়ম মেনে বিভাগে চেয়ারম্যান দিবো। প্রশাসনিক কার্যক্রমে অনেক ব্যাপার থাকে আমি আগামী রবিবার চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে দিবো"।