কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


Desk report | Published: 2024-06-10 16:39:07 BdST | Updated: 2024-06-23 08:32:42 BdST

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ শব্দটাকে বিচ্ছেদ করলে আমরা শুধু মুক্তিই পাই, কোথাও বৈষম্য কিন্তু দেখতে পাই না। স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও নতুন করে কোটা বৈষম্য তৈরি হলে সেটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেই সাংঘর্ষিক। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির যে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটেছিলো আজকে কোটা দিয়ে বৈষম্য তৈরির মাধ্যমে আমাদের সেই অর্জনকেই মলিন করে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তারা আরও জানান, কোটা মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের একটা মাধ্যম। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্তমানে যারা কোটা সুবিধার আওতাধীন রয়েছে তাদের মধ্যে কেবল প্রতিবন্ধী এবং আদিবাসী ছাড়া কেউই আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আওতায় পড়েন না। সুতরাং এখনই সময় এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। দাবি মেনে না নিলে লাগাতার আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এসময় তারা ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, 'সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে' ইত্যাদি কোটাবিরোধী স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থী নূর-ই-হাফিজা বলেন, বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির চাকরিগুলোতে একজন যোগ্য প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ একজন যোগ্য পাবলিক সার্ভেন্ট দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন একজন অযোগ্য মানুষ তা পারবেনা এবং দেশ খুব দ্রুতই ধ্বংস করবে। মেধার যথাযথ সম্মান যে দেশে করা হবে না সে দেশ অচিরেই মেধাশূণ্য হয়ে যাবে। স্বাধীনতার এতবছর পরেও এত বৈষম্য যে আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এর চেয়ে লজ্জাজনক হয়তো আর কিছু হতে পারে না।

ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম মিশু বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন। তবে কোটা পদ্ধতি বৈধ ঘোষণার রায়ের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক বৈষম্যের আওতায় পড়ছেন। আমরা চাই মেধার ভিত্তিতে যেন সকলে দেশের মূল চালিকা শক্তিতে প্রবেশ করে।