কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের পর সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে একই সাথে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে একাধিক সদস্য সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানান, আগামী ২৩ জুন (রোববার) থেকে ক্লাসে ফিরবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাদের সাথে সমন্বয় করে শনিবার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এছাড়াও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দাবি বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো পূরণ না হলে পুনরায় ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আমরা ২৩ তারিখ থেকে সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সকল দাবি পূরণ ও হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোন ভাবে সহযোগিতা করা হবে না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য এর আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরপরও যদি নিয়োগ পরীক্ষা নিতে চায় তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবো। যেহেতু ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি থাকবে এবং আগেও ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল তাই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমরা শনিবারে অনলাইনে ক্লাস নিবো। তবে উপাচার্য এবং ট্রেজারারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে।