বুয়েট উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার অবরুদ্ধ


Desk report | Published: 2024-06-24 19:36:16 BdST | Updated: 2024-09-29 01:02:34 BdST

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ রহিত করায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারকে অবরুদ্ধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার বিকালে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন তারা। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন।

কর্মচারীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে স্লোগান দিচ্ছিলেন- ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘পদোন্নতি নীতিমালা ফিরিয়ে আনতে হবে’।

জানা যায়, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামীকাল মঙ্গলবার শেষ হতে চলেছে। এরই মধ্যে নীতিমালা-২০১৫ বাতিলের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়টি জানিয়ে গতকাল রবিবার বুয়েট কতৃপক্ষ একটি অফিস আদেশ জারি করে।

সেই আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের চাকরি শেষ হলে/পদত্যাগ করলে/অপসারণ/পদচ্যুত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বর্হিভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভূক্ত মূল পদ শূন্য হবে।

এ ছাড়াও, ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদানে সরকারি নীতিমালা এবং ইউজিসি অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদ প্রাপ্ত হন তাহলে তা প্রদান করা হবে।

সব সিদ্ধান্ত উল্লেখপূর্বক অনুমোদনের জন্য ইউজিসিতে পাঠানো হবে বলেও ওই অফিস আদেশে জানানো হয়।