
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারনে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি তবে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দিনব্যাপী ‘গেট টুগেদার ও সাধারণ সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সমস্যায় অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে আহ্বান করছি এবং সার্বিক উন্নয়নের যাত্রায় অংশীদার হবেন। অ্যালামনাইদের দেখলে নতুনরা অনুপ্রাণিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাবুন, নতুন বাংলাদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন যাত্রায় সাহায্য করুন। এই যাত্রায় আপনি বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘোড়-সাওয়ারির মতো সাহায্য করবেন এ প্রত্যাশা রাখছি।
অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল-মামুন, এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মনজারুল আলম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাই সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেছেন, অ্যালামনাই বিচ্ছিন্ন থাকলে উদ্দেশ্য সফল হবে না, বরং সম্মিলিত একটি এলামনাই প্রশাসনিকভাবে গঠিত হওয়া উচিত। দলাদলি, হানা-হানি ও রাজনৈতিক বিতর্ক নয় এমন একটি নন্দিত অ্যালমনাই গঠন করতে বিনীত অনুরোধ জানাই।
এসময় স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্মৃতিচারণের পর এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. আব্দুল হাই বলেন, এসোসিয়েশন থেকে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের সাহায্য করা, চাকরি প্রত্যাশীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং ইবির এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঢাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভবন তৈরি করতে চাই।
উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বিদ্যমান সকল ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগের গ্রাজুয়েটরা উপস্থিত ছিলেন । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর স্মৃতিচারণ, অ্যালামনাইদের সন্তান-সন্তত্ত্বিদের খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণ পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম অ্যালামনাইয়ের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন জন করা হয়।