
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) টানা আন্দোলনের ২৯তম দিনে এসে অবশেষে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি পূরণ হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মানুন-অর-রশীদকেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাশেম। অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তৌফিক আলম।
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনের মধ্যে অনশনেও অংশ নেন শিক্ষার্থীরা, এতে অন্তত পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।
উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে টানা ২৯ দিন ধরে আন্দোলনে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। শিক্ষকদের একটি বড় অংশও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মাঠে নামেন। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশ নেন। এ কর্মসূচি থেকে উপাচার্যকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
তবে এ সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর উপাচার্য শুচিতা ফেসবুক লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন। তাঁর এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সোমবার রাত ১২টা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন।