রাবিতে ৪ দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চার। দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতা দূরীকরণ এবং আন্তঃসীমান্ত ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে শান্তি রক্ষা’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আরইউমুনা)।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল মো.শাহারিয়ার ইমন। এসময় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আরইউমুনার প্রধান উপদেষ্টা শাহ আজম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘের উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহ আজম বলেন, আরইউমুনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৬ষষ্ঠ বারের মতো এই কনফারেন্সের আয়োজন করেছে । এই ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বৈশ্বিক ইস্যুগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরবেন, এতে তাদের মধ্যে বৈশ্বিক জ্ঞান ও রাজনীতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।'

আরইউমুনার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন বলেন, বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে উদ্যোগের বিষয় হলো নিরাপত্তাহীনতা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেশগুলোতে প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমাদের দেশে নারীদের পোষাক পরিধানে নিয়ে যে সীমাবদ্ধতাগুলো রয়েছে এই সব বিষয়গুলো রোধে কাজ করে যাচ্ছে আরইউমুনা। গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে কীভাবে সংকটময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে আন্তঃসীমান্ত ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে শান্তি রক্ষা করা এবারের ছায়া জাতিসংঘের লক্ষ্য।

এবারের ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন ৮টি কমিটি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি, জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট, স্পেশালাইজড কমিটি ফর বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স, ইন্টারন্যশনাল প্রেস এবং জাতিসংঘ লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতাবিষয়ক সংস্থা।

সম্মেলনে ৫০টি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪০০জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ছায়া জাতিসংঘের কমিটিগুলো সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক বিল্ডিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি বিল্ডিংয়ে পরিচালনা করা হবে।