
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ‘বলিষ্ঠ ও দ্রুত’ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রেসিডেন্টের এ আহ্বানের কথা জানান।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে মাইন পেন্স জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর দ্রুত সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। চলমান সংকট সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদি কূটনৈতিক সহায়তার কথাও জানান তিনি।
মাইক পেন্স বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এবং তাদের সহায়তায় ‘বলিষ্ঠ ও দ্রুত’ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছি।”
মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞ থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক প্রস্থান’ ও হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্য এ ঘটনা ‘মহান ট্রাজেডি’ বলে উল্লেখ করেন পেন্স।
এর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সৃষ্ট সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ কথা বলেন তিনি।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে সহস্রাধিক প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জরুরি মানবিক সহায়তায় প্রায় ৩২ মিলিয়ন ডলার (২৬২ কোটি ৩ লাখ টাকা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্থানীয় আশ্রয়দানকারী ও যারা রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণভাবে উচ্ছেদের শিকার হয়েছে তারা এই সহায়তা পাবে বলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার একথা জানানো হয়েছে। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ৭২তম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এমএন/ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭