
পাকিস্তানি এক নারীকে বিয়ে করে সে তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্য মুনির আহমেদ। তবে বরখাস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি দাবি করেন, সিআরপিএফ সদর দপ্তরের অনুমতি পাওয়ার প্রায় এক মাস পর তিনি বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জম্মুর ঘারোটা এলাকার বাসিন্দা মুনির ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন। বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুনির বলেন, ‘আমি আদালতে যাব এবং ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করি।’
সিআরপিএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিক মিনাল খানকে বিয়ে করলেও তা গোপন রেখেছিলেন মুনির। পাশাপাশি মিনালের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে নিজের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সংস্থাটির দাবি, এই কাজ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে।
মুনির আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে আমি গণমাধ্যম থেকে বরখাস্ত হওয়ার খবর পাই। এরপর সিআরপিএফ থেকে আমাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি আমার ও আমার পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের। কারণ আমি সদর দপ্তরের অনুমতি নিয়েই বিয়ে করেছিলাম।’
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পরই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় সরকার। এই প্রেক্ষাপটেই মুনির আহমেদ ও মিনাল খানের বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে।
জানা গেছে, মিনাল খান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তাঁর ভিসার মেয়াদ ছিল ২২ মার্চ পর্যন্ত। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপে তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়। বর্তমানে তিনি জম্মুর মুনির আহমেদের বাসায় অবস্থান করছেন।