যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কড়াকড়ি: আশ্রয়ের আশায় থাকা কর্মী-শিক্ষার্থীদের ভিসা কঠিন হতে পারে


ডেস্ক নিউজ | Published: 2025-05-06 20:13:38 BdST | Updated: 2025-05-29 05:03:53 BdST

যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে কাজ কিংবা পড়াশোনার জন্য গিয়ে পরে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করা অভিবাসীদের দমনে নতুন কড়াকড়ির পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এতে করে পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্যে কাজ ও পড়াশোনার ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ হোম অফিস বলছে, অনেকেই বৈধ ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হলে তারা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। সরকারের দৃষ্টিতে এটি ‘ব্যবস্থার অপব্যবহার’।

হোম অফিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমাদের সামনে আসা ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপারে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা থাকবে। এটি ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।”

তবে কোন দেশের নাগরিকেরা সবচেয়ে বেশি ভিসার সময়সীমা অতিক্রম করেন—সে বিষয়ে ২০২০ সালের পর থেকে হোম অফিস আর কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।

বিবিসি জানায়, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ, যা ১৯৭৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে পাকিস্তানের ১০ হাজার ৫৪২ জন, শ্রীলঙ্কার ২ হাজার ৮৬২ জন এবং নাইজেরিয়ার ২ হাজার ৮৪১ জন ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন ভারতীয় শিক্ষার্থী—সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ৪৮০ জন। দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীন, সেখানকার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ৪০০।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানিয়েছেন, তিনি বৈধ ও অবৈধ—উভয় ধরনের অভিবাসন হ্রাস করতে চান। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যাগত লক্ষ্যমাত্রা তিনি দেননি।

স্টারমারের পরিকল্পনায় রয়েছে—সমুদ্রপথে বিপজ্জনক যাত্রাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল খাতগুলোতে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং অভিবাসনের সংখ্যা হ্রাস করা।

তবে রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন বলেছেন, “কিছু শিক্ষার্থী বা কর্মী হয়তো দেশে ফেরার মতো নিরাপদ অবস্থায় নেই। সে জন্য তাদের আশ্রয়ের আবেদন সঠিকভাবে বিবেচনা করাটাই উচিত।”

সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটি মে মাসের মধ্যেই একটি নতুন ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপারের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।