৪ দাবি সামনে নিয়ে আন্দোলনে নামছে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা


Desk report | Published: 2024-06-30 10:51:44 BdST | Updated: 2024-07-02 21:46:47 BdST

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ করে ৩০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তী আন্দোলন পরিচালনায় চার দফা দাবির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তারা।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজিত উন্মুক্ত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সংগঠক হাসিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে বৈষম্যমূলক কোটার যৌক্তিক সংস্কার চায়। ১৮-এর পরিপত্র বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেটা গণবিরোধী রায় হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ৩০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছার অভাব দেখতে পেয়েছি। ফলশ্রুতিতে আগামী ১ জুলাই থেকে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরব থাকবে শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এদেশের সব যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না করে রাজপথ ছেড়ে যায় নাই। এবারও কোটা বৈষম্যের নিরসন ও যৌক্তিক সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছে।

চার দফা দাবিসমূহ:

১। '১৮ সালের পরিপত্র বহাল' সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অনধিক ১০% কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার করতে হবে।

২। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।

৩। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট। ফলে পুনর্বহাল হয় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটাসহ সর্বমোট ৫৬ শতাংশ কোটা। রায়ের পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এরপর কয়েক দিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এরই মধ্যে যদি হাইকোর্টের রায় বাতিল না হয় তাহলে ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দেয় তারা।