কোটা বহাল রাখার দাবিতে ইবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মানববন্ধন


IU Correspondent | Published: 2024-07-02 19:11:56 BdST | Updated: 2024-07-05 00:14:25 BdST

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তানরা। এই দাবিতে মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‍্যালের সামনে মানববন্ধ করেছে তারা। ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’ সংগঠনের ইবি শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘কোটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অধিকার’, ‘মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অপশক্তিরা নিপাত যাত’, ‘কোটা আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ট্রল করা যাবেনা’, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে হবে’, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানহানি করা চলবে না’--সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।

‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’ ইবি শাখার সভাপতি মেজবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির খান, সহ-সভাপতি আবদিম মুনিব ও মাহমুদুল হাসান। এছাড়া জুয়েল রানা, মাসুদ রানা, তারিফ, হিতুয়ারা খাতুন, এরিনা সুলতানা তারিন, মাইমুনা সুলতানা মীম এবং মীম জাহান খুশিসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটা অপশক্তি মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। ১৯৭১ সালে এই মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, অথচ আজকে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সব চাইতে বেশি লাঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দেখেছি এর আগেও বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এই মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যা লঘু হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় আজ তারা নিপীড়িত হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায়। এসব কখনই কাম্য নয়। মুক্তিযোদ্ধা ছিলো বলেই এই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। তাই এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা আমাদের অধিকার।

তারা আরোও বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কোটার বিরুদ্ধে কখনই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে পারেনা। এট স্বাাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কাজ। এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে উস্কে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তবে আমরা এই অপশক্তিকে কখনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবো না। এজন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।