
দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এজন্য দেশের প্রধান বন্দর এবং কাস্টমস সেবায় পেশাদারিত্ব আরো বাড়ানোর দাবি এ খাতের বিনিয়োগকারীদের। চার দিনের বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের শেষ দিনে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাত নিয়ে সেমিনারে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তারা। এ সামিটের মাধ্যমে পোশাক খাতে আরো নতুন বিনিয়োগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা উদ্যোক্তাদের।
বরাবরের মতো দেশে তৈরি পোশাক এখনও রপ্তানি খাতের মূল ভরসার জায়গা। মোট ৩ হাজার ৩৬১ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে এই খাত থেকেই এসেছে ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ।
এবার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে দেশের পোশাক শিল্পে বড় বিনিয়োগের চমক এসেছে। ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় চীনের পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ।
দেশি-বিদেশি নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরসহ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় গতি আনা গেলে বিদেশি বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ বলেন, ‘এনবিআর, পোর্ট এবং লজিস্টিকসে আমরা যদি পরিস্থিতি উন্নতি করতে পারি তাহলে এটা ভালো হবে।’
উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ বলেন, ‘কোরিয়া থেকে একটা বড় বিনিয়োগকারী দল এসেছে, যারা কেপিইজে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি পোশাক খাতেও বিনিয়োগ করতে চায়। আমি আশা করি এখান থেকে ভালো একটা ফলাফল আসবে।’
সম্মেলনে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাওয়ায় পোশাক খাতে আরো আগ্রহী হয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
বিজিএমইয়ের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের বড় বিনিয়োগ দরকার। আমাদের শিল্পকারখানা প্রস্তুত।’
বিদেশি বিনিয়োগকারী রবিউল চৌধুরী বলেন, ‘এখনকার প্রশাসন, ট্যাক্স, নিরাপত্তা, নিশ্চয়তার ব্যাপারে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের শুল্ক সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও কাজ করার কথা জানায় বিনিয়োগ সম্মেলনে।