মঙ্গলের পরিবর্তে এবার হবে আনন্দ শোভাযাত্রা


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | Published: 2025-04-11 17:43:05 BdST | Updated: 2025-04-27 18:33:40 BdST

পহেলা বৈশাখে এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’র আয়োজন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ। এই শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ।

পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকছে নাকি এর নাম পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে।

বিজ্ঞাপন

ওই সিদ্ধান্ত জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন বলেছেন, শোভাযাত্রার নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এ শোভাযাত্রা সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। এই শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে।

আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, চারুকলা অনুষদ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এবারের নববর্ষ ফ্যাসিবাদ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বার্তা দিবে। প্রতিটি মানুষকে মুক্তির বার্তা দেবে।

চারুকলা অনুষদের ডিন বলেন, যখন শোভাযাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে, তখন আনন্দ শোভাযাত্রা ছিল। সেখানেই ফিরতে চাই। কারণ এখানে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।

আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, কোনো চাপ নেই। মঙ্গলের ব্যানারে সর্বস্তরের মানুষের অংশ ছিল না। তাই পুরোনো নামটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গল শব্দে কোনো আপত্তি নেই।

বিজ্ঞাপন

এরআগে গত ২৩ মার্চ মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা। সচিবালয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ নিয়ে মন্তব্য করেন। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ শোভাযাত্রা। বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য ও অপশক্তির অবসান কামনা করে প্রথমবারের মতো এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।