
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের পদত্যাগে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণ না হলে দক্ষিণবঙ্গকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুশিয়ারি দেন তারা৷
আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের যেই প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্র আগ্রহ দেখায়নি। সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, বর্তমান উপাচার্যের কাছে অনেকগুলো ছোট ছোট বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে গিয়েছে, কিন্তু আশানুরূপ কোনো সমাধান তিনি দিতে পারেননি। পরে ২২ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করে, তখন তিনি জানান, একমাস সময় দিলে তিনি শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেবেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরে অর্ধবছর পরও তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কতটুকু পূরণ করতে পারলেন বা পারলেন না, এই ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার প্রয়োজনবোধ করেননি। তিনি (উপাচার্য) বলেছেন, যদি তিনি ২২ দফা পূরণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদের নৈতিক অধিকার হারাবেন। কিন্তু আমরা দেখলাম যে এই ব্যাপারটা নিয়ে পরে তিনি আর কোনো আলাপ করেননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৮ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শিক্ষার্থীদের যেই দাবি ছিল, সেগুলো নিয়ে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সাথে বসার সুযোগ ছিল, কিন্তু একবারের জন্যও শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করার কোনো উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করিনি। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন গণতান্ত্রিক পরিবেশে এমন স্বৈরাচারী মনোভাবের লোক আমরা চাই না। আমরা চাই না শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হোক বা দক্ষিণবঙ্গের কোনো ক্ষতি হোক।
হুশিয়ারি দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন থেকে শুরু করে গোটা দক্ষিণবঙ্গকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
জুলাই আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক ও বরিশাল মহানগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে তিন সপ্তাহ যাবত আন্দোলন চলছে, তিনি (উপাচার্য) চাইলে শিক্ষার্থীদের সাথে বসতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ভিসি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরনে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ইউজিসিকে আহ্বান করছি, অবিলম্বে এই ভিসিকে অপসারণ করতে হবে। এবং একজন সৎ ও যোগ্য ভিসিকে নিয়োগ দিতে হবে।