নোয়াখালী সদর হাসপাতালের পরিত্যক্ত মালামালে আগুন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন


নোয়াখালী প্রতিনিধি | Published: 2025-05-04 17:48:12 BdST | Updated: 2025-06-02 14:21:25 BdST

নিলামের জন্য রাখা নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রোগীদের অব্যবহৃত কিছু শয্যার ফোম, পরিত্যক্ত আসবাবপত্র এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কিছু তার পুড়ে গেছে। এতে পুরো হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে জরুরি বিভাগ ও রোহিঙ্গা ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী চলাচলের রাস্তার পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নোয়াখালী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতালের পুরাতন এবং অব্যবহৃত কিছু আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল নিলামে বিক্রির জন্য জরুরি বিভাগ ও রোহিঙ্গা ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী চলাচলের সড়কের পূর্ব পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মালামালগুলো নিলামের প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে রোববার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ সেখানে আগুন দেখে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডা. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, আগুনে হাসপাতালের বিদ্যুতের সাব স্টেশনের কিছু তার পুড়ে যাওয়ায় জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রোগীরা সংকটে পড়ে। হাসপাতালের জেনারেটরটিও সকালে বিকল হয়ে যাওয়ায় সংকট আরও বাড়ে।

বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতে কাজ করছে জানিয়ে ডা. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিকেল ৪টা নাগাদ কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট ছাড়া পুরো হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

কারও ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত ধারণা করছেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন। এরপরও নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে কি না, তা তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

নোয়াখালী  ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেল প্রশাসক বলেন, আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।