
বগুড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এ হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। মামলাটি দাখিল করা হয়েছে গতকাল রোববার।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আজগর জানিয়েছেন, বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বিচারক মো. আনোয়ারুল হক। মামলার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পিবিআই ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় হিরো আলম ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর মেয়ে আলো খাতুন, সহকারী আল আমিন, মালেক ও তাঁর স্ত্রী জেরিন, এবং আহসান হাবিব।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও চলচ্চিত্রে কাজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন হিরো আলম। পরে একজন মৌলভিকে দিয়ে কবুল পড়িয়ে বিয়ে করেছেন দাবি করে বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন। একপর্যায়ে ওই নারী গর্ভবতী হলে গত ১৮ এপ্রিল তাঁকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাত করানোর চাপ দেন হিরো আলম। এতে রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল তিনি এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। এতে গুরুতর রক্তক্ষরণে ভুগলে ওই নারীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে গর্ভপাত করানো হয়। পরবর্তী তিন দিন তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সিনেমা তৈরির কথা বলে হিরো আলম ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে এ মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করেন হিরো আলম।