সাতক্ষীরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি, টহল বৃদ্ধি


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি | Published: 2025-05-09 11:00:21 BdST | Updated: 2025-05-18 19:26:04 BdST

গত ৭ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে আকার ধারণ করেছে। চলমান এই পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি। অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি রাখতে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় তিনটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এগুলো হলো- সাতক্ষীরা সদরে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, শ্যামনগরের নীলডুমুরে ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও রিভারাইন বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সাতক্ষীরার নদী সীমান্ত রয়েছে ১৬৭ কিলোমিটার, আর স্থল সীমান্ত রয়েছে ৬৭ কিলোমিটার।

বিজিবি সূত্রে আরও জানা যায়, তলুইগাছা, কুশখালী, ভোমরা, লক্ষীদাঁড়ি, খানজিয়া, ঘোনা, গাজীপুর, পদ্মাশাঁখরা, কোমরপুর, বসন্তপুর, দেবহাটা, সুলতানপুর, কাকডাঙ্গা ও ভাদিয়ালীসহ সাতক্ষীরা বিজিবির ১৫টি ও নীলডুমুর বিজিবির ১২টি বিওপি রয়েছে। পাকিস্তান-ভারত সংঘাত শুরু হওয়ার পর ২৩ কিলোমিটার সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। কিন্তু বিজিবির টহল বাড়ানোয় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তাদের মধ্যে। আগে ৫০০ গজ অন্তর বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতেন। এখন সেই জায়গায় ৩০০ গজ অন্তর দায়িত্ব পালন করছেন একজন বিজিবি সদস্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক বলেন, সীমান্তে টহল তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এসব কাজ করার জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে আসছে। এর গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানও।