
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে আগের ফলের তুলনায় পাসের হার ও সিজিপিএর সংখ্যা বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে এ বিষয়ে জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ফল নিয়ে বড় একটি সমস্যা হয়েছিল। ২০২১ সালের পরীক্ষায় ১১৭ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করে। এর মধ্যে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট পেয়েছিলেন ১৯ জন শিক্ষার্থী, ৩.২৫ পেয়েছিলেন মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী এবং বাকিরা ৩ পয়েন্টের নিচে পেয়ে পাস করে। সাধারণত কোথাও আবেদনের জন্য অন্তত ৩ পয়েন্ট প্রয়োজন হয়।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আমাদের বলেন, তাদের এ ফল অপ্রত্যাশিত এবং ফল যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তারা এ ফল মানবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে স্বাভাবিকভাবে ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নের সুযোগ নেই। অনেক শিক্ষার্থী এসে বলেন, আমরা ৮ বছর পড়াশোনা করে এখন ফেল করে যাচ্ছি, আবার যারা পাস করেছে তাদের তেমন কেউ কোথাও আবেদন করতে পারবে না। আমরা শিক্ষার্থীদের আইনের কথা বলি, তারা তাদের জীবনের কথা বলে এবং এক পর্যায়ে তারা অনেক সিরিয়াস হয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় সিন্ডিকেট যে কমিটি গঠন করেছিল তারা রিপোর্ট পেশ করার পর শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সিন্ডিকেট ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বেশি পাস করেন। এর মধ্যে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট পান ৭৫ জন, ৩.২৫ পান ৩৫ জন এবং ৩.৫০ পান এক শিক্ষার্থী। আগে যেখানে ফেল করে ৪১ জন সেখানে পুনরায় মূল্যায়নের পর তা ১০ জনে নেমে আসে।
ফল পুনরায় মূল্যায়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ভিন্ন মত দিয়েছিলেন। কারণ এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই। তবে, আমরা বিভাগের সব শিক্ষক এবং পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারা সবাই একমত হয়েছেন যে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ৩৩ শিক্ষার্থী ফেল করানোর অভিযোগ তোলেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। প্রতিহিংসা ও আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এমনটি করা হয় বলে দাবি করেন তারা।