বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ঢাবির রাসেল ও আয়রনম্যান


Desk report | Published: 2021-12-21 03:49:44 BdST | Updated: 2024-05-17 11:33:45 BdST

মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরাচ্ছেন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ বছরের লারিসাসহ ৭৯ সাঁতারু। এদের মধ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল সবার আগে সাঁতার শেষ করেছেন। আর মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাতও (আয়রনম্যান) সাতার শেষ করেছেন। তিনি অষ্টমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন।

সোমবার সকাল ১০টা ৪০মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে ৭৯ সাঁতারু সাঁতার শুরু করেন। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’।

১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’ নামে সাঁতারের এ আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।

ঢাকার একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় আছেন তার মা।

ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হবে সে। কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লারিসা বলে, ‘একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি, আমি পারব। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবই সম্ভব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার সাঁতার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এবার সর্বোচ্চ ৭৯ সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন উপস্থিত হতে পারেননি। গত বছর ৪৩ সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ সফল হয়েছিলেন।