বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে কী বলেছিল দিল্লীর আদালত?


Dhaka | Published: 2020-06-08 06:38:18 BdST | Updated: 2024-05-10 01:51:12 BdST

বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ গণ্য করলে স্বামীদের হয়রানির সুযোগ পাবেন স্ত্রীরা। আর তাতে বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠানটাই স্থিতিশীলতা হারাবে। দিল্লি হাইকোর্টে এক মামলায় জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ গণ্য করে শাস্তির নিদান চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একাধিক মহিলা সংগঠন। সেই মামলায় কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল আদালত।  কেন্দ্র জানিয়েছে, এই দাবি মেনে নিলে মহিলারা স্বামীদের হয়রানির জন্য তা সহজ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। কিন্তু স্বামী–স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ কিনা তার প্রমাণ করা যাবে না। তাই চলতি ব্যবস্থা যেমন আছে তেমনই থাক।

মহিলা সংগঠনগুলোর পক্ষে সংবিধানের ৩৭৫ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। এই ধারাতেই ধর্ষণের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট। তাতে ‘‌ব্যতিক্রমী উপধারা’‌ রয়েছে। উপধারায় বলা হয়েছে, ১৫ বছরের ওপরে কোনও বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর যৌন সংসর্গের ক্ষেত্রে ধর্ষণ আইন প্রয়োগ করা যাবে না। মূল আইনে এই ধরনের কোনও উপধারা ছিল না।

২০১২ সালের কুখ্যাত দিল্লি গণধর্ষণের পরে ধর্ষণ নিয়ে কঠোর আইন আনে কেন্দ্র। এরপরে ২০১৩ সালে ধর্ষণ আইনে সংশোধন এনে এই উপধারা যোগ করা হয়। আগের একটি মামলাতেও কেন্দ্র জানায়, ‘‌নিরক্ষরতা, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বৈচিত্রের কারণে ভারতের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে।’‌

সরকারের এই মতকে সমর্থন করেছে সংসদীয় কমিটি। এই নিয়ে মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল, প্রবীণ আইনজীবী স্বরাজ কৌশলের টুইট, ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ বলে কিছু হয় না। আমাদের বাড়িগুলো যেন থানা না হয়ে ওঠে। তাহলে বাড়ির থেকে কারাগারে বেশি স্বামী থাকবেন।’‌