অনেকেরই দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। কারও কারও ধারণা, দুপুর বেলা একটু না ঘুমালে পরের দিকে কাজ করতে অসুবিধা হয়। কিন্তু এই ঘুমের কারণে সমস্যায়ও পড়তে হয়।
আয়ুর্বেদ বলছে, দুপুর বেলার ঘুম মানুষের শরীরে স্নিগ্ধ প্রভাব ফেলে। এর থেকে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। গুণের অভাব দেখা দিতে পারে। পেশি শিথিল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরেই ঘুম, এটা দিনে কিংবা রাতে একেবারেই উচিত নয়। শোয়ার আগে অন্তত ১ ঘণ্টা হাঁটাচলা করা কিংবা বসে থাকা উচিত। তা না হলে খাবার হজম হবে না। শরীরে দুর্বলতা দেখা দেবে।
তবে ছোট শিশুদের অবশ্যই দুপুরে ঘুমানো উচিত। আবার যারা অনেক ভোর থেকে ক্লান্তির কাজ করেছেন, তাদের শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ঘুমানো প্রয়োজন। বয়স্ক যারা একেবারে না ঘুমিয়ে থাকতে পারেন না তাদেরও দুপুরে ঘুমানো উচিত। অনেক সময় ধরে যারা ভ্রমণ করেছেন তাদের ঘুমানো উচিত। পাশাপাশি যারা শারীরিকভাবে দুর্বল অথবা যাদের ওজন একেবারেই কম তাদেরও দুপুরে ঘুমানো প্রয়োজন।
গরমেই কী এই ঘুমের মাত্রা বাড়ে?
অনেকে বলেন, গরমে দুপুরে ঘুমানোর মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়াও এই সময় চারিপাশের পরিবেশ রুক্ষ থাকায় মানুষের শরীরে এক ধরনের দুর্বলতা গ্রাস করে। তখন ঘুম পায়।
দুপুরে ঘুমানো যাদের জন্য ঠিক নয়-
১. যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী কিংবা যাদের হজমের সমস্যা আছে।
২. যারা বেশি ব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন তাদেরও দুপুরবেলা ঘুমানো বন্ধ করা উচিত। বিশেষ করে শীতকালে এবং বসন্তে ঘুমানো একদম উচিত নয়।
দুপুরে ঘুমালে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১. শরীরে ভারী ভাব এবং খাওয়ায় অ্যালার্জি
২. অত্যধিক মাথা ব্যথা কিংবা নাক জ্বলুনি
৩. ক্রনিক রাইনিটিস অথবা পেশিতে টান