মাদ্রাসাছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-09-02 12:22:07 BdST | Updated: 2024-04-19 21:48:39 BdST

গাজীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থানায় মামলা হয়েছ। শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করেন নির্যাতিত ছাত্রের মা।

ভিকটিম তাওহীদুল ইসলাম ওরফে শোয়েব মোল্লা পূবাইল রহমানিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার ছাত্র। মামলায় এতিমখানার শিক্ষক আমজাদ হোসেন ও তার বন্ধু বাছির উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

জয়দেবপুর থানার পূবাইল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শোয়েব মোল্লাকে তার মা ২৫ আগস্ট বিকালে এতিমখানার হোস্টেলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু শোয়েব মাদ্রাসায় থাকতে রাজি হচ্ছিল না। সে তার মায়ের সাথে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য এতিমখানা থেকে তার মায়ের পেছনে পেছনে ছুটতে থাকে। বিষয়টি মাদ্রাসা শিক্ষক আমজাদ হোসেন দেখে শোয়েবকে শাসনের নামে টেনে হিচড়ে পা দিয়ে পিষে নির্যাতন শুরু করে। এ কাজে তার এক বন্ধু স্থানীয় বাছির উদ্দিন সহযোগিতা করেন। একাধিকবার শোয়েব চলে যাওয়ার চেষ্টা করেও রেহাই পাননি। এসময় এলাকার এক যুবক ঘটনাটির ভিডিও চিত্র ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তদন্তে ঘটনাস্থলে যায়। পরে ভিক্টিমের মা থানায় মামলা করেন। ঘটনার দুইদিন পর থেকে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে মাদ্রাসা মূল ফটক ও হোস্টেলেও তালা ঝুলছে।

ভিকটিমের মা মঞ্জুরা বেগম জানান, ছেলেকে এতিমখানায় রেখে আসার পর সে আবার বাড়িতে চলে আসতে চাইলে শিক্ষক আমজাদ হোসেন আমার ছেলেকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে চেপে পিষতে থাকে এবং চড়-থাপ্পর মারতে থাকে। এ পর্যায়ে শিক্ষকের হাত থেকে ছুটে পালাতে গেলে বাছির উদ্দিন তাকে ধরে নিয়ে টেনে হেচড়ে আবার ওই শিক্ষকের হাতে তুলে দেয়। এসময় তার কান্নাকাটি শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তারা আমার ছেলেকে ছেড়ে দেন। শিক্ষক তার ছাত্রদের শাসন করলেও এমন নির্যাতনকে তিনি মানতে পারছেন না।

শিশু শোয়েব জানায়, আমজাদ হুজুর তাকে পা দিয়ে চেপে ধরেচড়-থাপ্পর মারে এবং নির্যাতন করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেন ও তার বন্ধু বাছির উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। খবর ঢাকা টাইমস।

টিকে/ ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭