ডাকসু সবার– তোফায়েল আহমেদ

আমাদের সময়ে মত-পথের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সবাই ছিলাম বন্ধু: তোফায়েল


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2019-01-30 10:46:23 BdST | Updated: 2024-06-26 07:26:06 BdST

বৈঠকিতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন বিগত ২৮ বছর যাবৎ অনুষ্ঠিত হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতা তৈরির কারখানা। সেখানে নির্বাচন না হওয়া দুঃখজনক। ’৬৮ সালে আমি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনি স্বপ্ন দেখাতেন। তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করেছি। ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে অনেক পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলাম। মানুষ প্রত্যাশা করেছিলো, জাতীয় নির্বাচনের পরে শুধু ঢাবি নয়, পাবলিক, প্রাইভেট অন্য যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেখানেও নির্বাচন হবে। এটি একটি শুভ উদ্যোগ। আমি আশা করি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ বৈঠকির সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন নিউজ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ‍ভূমিকা রেখেছে ডাকসু। ৬০ দশকের ডাকসুর অনেকে এখন জাতীয় নেতা। দল-মতের পার্থক্য ভিন্ন কথা। এতোদিন নির্বাচন না হওয়ার নানা কারণ ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার যদি সিদ্ধান্ত না নিলে নির্বাচন হয় না। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা বলা যাবে। ৩৮ হাজার ছাত্রছাত্রী এক জায়গায় ভোট দেবে এটা সম্ভব নয়। হলে হলে ভোট হবে, সবাই ভোট দেবে।’

ডাকসু সবার– মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি চাই যেকোনও মূল্যে নির্বাচন হোক। এতে কে বিজয়ী হবে? সেটি বড় কথা নয়। একটা নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। এ ব্যাপারে ছাত্রদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সময়ে মত-পথের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সবাই ছিলাম বন্ধু। এখনও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিরাজ কাম্য। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্তক থাকতে হবে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপক্ষ হবে না এটা আমি মনে করি না। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে আমার ভালো লেগেছে। পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য সবার কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিত, সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা। ছাত্রদল, ছাত্রলীগের মতপার্থক্য থাকলেও সামাজিকভাবে একসঙ্গে থাকবে এটা প্রত্যাশা করি। তর্ক-বির্তক না করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আপন করে, তাদের মন জয় করতে হবে।’