রাজধানীতে বাসে আগুনের ঘটনায় ৯ মামলা, আসামি ৪৪৬


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2020-11-13 19:17:27 BdST | Updated: 2024-05-09 01:20:46 BdST

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪৪৬ জনকে। আটক করা হয়েছে ২০ জনকে। আসামিদের বেশির ভাগ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।

মতিঝিল থানায় করা মামলায় আসামিদের মধ্যে ঢাকা-৬ আসনের নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন রয়েছেন। মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছেন। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান, মতিঝিলে ২টি, শাহবাগে ২টি, পল্টনে ২টি এবং বংশাল, ভাটারায় ও কলাবাগানে একটি করে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার এসব মামলা হয়।

এ্রখন পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মতিঝিলে ১ জন, শাহবাগে ৬ জন, পল্টনে ৯ জন, বংশালে ২ জন ও কলাবাগানে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে একে একে ৯টি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের মধ্যে ৩টি সরকারি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উত্তর পাশে পার্ক করে রাখা একটি সরকারি বাসে প্রথম আগুন দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় ভাটারা এলাকায় আরেকটি বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতে আরও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে বাসগুলোতে আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। যেসব বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, তাতে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী ছিলেন। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পৃথক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করা হয়।

অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। তিনি দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।