গবেষণাপত্রে চুরি ঠেকাতে ঢাবিতে যেসব শাস্তির বিধান হচ্ছে


Dhaka | Published: 2020-12-01 06:56:34 BdST | Updated: 2024-05-07 11:38:29 BdST

অবশেষে গবেষণাপত্রে চুরি ঠেকাতে একটি খসড়া নীতিমালা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছোটখাট কিছু সংশোধনীর পর উঠবে একাডেমিক কাউন্সিলে। এরপরে যাবে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সিন্ডিকেট সভায়। উপ-উপাচার্য বলছেন, খসড়া নীতিমালায় শাস্তি যা রাখা হয়েছে, তাই থাকবে, চূড়ান্ত পর্যায়ে ধারণাগত জায়গায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পরে প্লেজিয়ারিজম বা গবেষণাপত্রে চুরি ঠেকাতে সচেষ্ট হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে গঠিত জালিয়াতি প্রতিরোধ কমিটি এরইমধ্যে একটি নীতিমালার খসড়া জমা দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এটি তৈরি হয়েছে, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং জয়পুরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের নীতিমালার আলোকে।

খসড়ায় দেখা যায়, প্লেজিয়ারিজমের সংজ্ঞা নির্ধারণের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার অপরাধের ধরণ অনুযায়ী রাখা হয়েছে, শাস্তির মাত্রা। এতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত জালিয়াতিতে কোনো শাস্তি নেই। এরপর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ মিলবে। তবে, এর বেশি জালিয়াতিতে মৃদু শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আর ৬০ শতাংশের বেশি হলে, শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ২ বছরের জন্য গবেষণাপত্র আটকে দেয়ার কথা বলঅ হয়েছে। আর শিক্ষকদের অব্যাহতি বা পদাবনতির সুপারিশ রয়েছে।

উপ-উপাচার্য আরও জানান, শাস্তির বিষয়টি ঠিক রেখে ধারণাগত জায়গায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, চূড়ান্ত নীতিমালায়।