নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ


Dhaka | Published: 2024-03-04 16:24:48 BdST | Updated: 2024-04-28 17:46:37 BdST

ছাত্রীকে মধ্য রাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বুঝাতে ব্যাক্তিগত চেম্বারে ডাকা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছাত্রীর ছবি চাওয়া, ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গের ভিডিও লিংক শেয়ার করার মতো নানান অভিযোগ উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, জুনিয়র সহকর্মীর এমন অনৈতিক কাজে প্রতক্ষ্য-পরক্ষ্যভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানকে মৌখিকভেবে এবিষয়ে জানালে, সংকট উত্তরণের জন্য ভুক্তভোগীকে বেধে দেন একাধিক শর্ত। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিভাগের অন্য দুই সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ফাহামিদা সুলনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেওয়া।

শিক্ষকের এমন সব অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ঐ ছাত্রীর শিক্ষাজীবনে পরতে পরতে নেমে আসে বিপদ। অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে গুনতে হয় জরিমানা, নম্বর কমে যায় পরীক্ষার খাতায়, আটকে যায় থিসিস পেপারসহ এমন আরো অনেক রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগীকে। সময়ের সাথে ঘনীভূত হতে থাকে সংকট। সর্বশেষ উপায় না পেয়ে মুখ খোলেন ঐ বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সৈয়দা সানজনা আহসান ছোয়া। এবং সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিভিন্ন সময়ের ভোগান্তির ঘটনা প্রবাহ। যেখানে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনের প্রত্যেক ধাপেই তিনি হয়েছেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার চিত্র।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘ সময় ধরে নিরবে নির্যাতনের শিকার হওয়া অনেক শিক্ষার্থী মুখ খুলতে শুরু করে। সোস্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পরতে থাকে অন্তত পনের এর অধিক ছাত্রীর সাথে করা অনৈতিক কথোপকথন। এক পর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উক্ত আন্দোলনে ছয় দফা দাবি জানিয়ে আটচল্লিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষনা করেন তারা। এবং উক্ত ছয় দফা দাবিসহ একটি লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পেশ করেন। যেখানে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেন। যেখানে উল্লেখিত দাবি গুলো হলো ১.অভিযুক্ত শিক্ষকে চাকুরীচুত্য, ২.অপরাধের সাথে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনা ৩.শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ৪.অনতিবিলম্ব পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ৫.ভবিষ্যতে এঘনার কোন বিরুপ প্রভাবের না পএয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত এবং ৬.আটচল্লিশ ঘন্টার দাবি মধ্যে বাস্তবায়ন।

এবিষয় অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন শাহার সাথে যোগাযোগ জন্য তিনার অফিসে গেলেও পাওয়া যায়নি, এবং একাধিকবার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায় তিনার মুঠো ফোন। এবং অন্য শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান শুভ্রকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ‘তাদের যে অভিযোগ তারা এটি বিভাগ বরাবর জানালে আমরা ব্যাবস্থা নিতাম। তবে সেটা তারা করেননি। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের মঙ্গল চাই। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে এবিষয়ে কোন তথ্য প্রমাণ থাকলে আমিও জানতে। অভিযোগ করে হিবে না এর সত্যতা প্রমান করতে হবে।’