নিজের দোষে ফেল করেছে মিম: বিভাগীয় চেয়ারম্যান


Desk report | Published: 2024-03-20 18:51:05 BdST | Updated: 2024-04-28 10:35:40 BdST

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীমকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া এবং তাকে যৌন হেনস্তার যে অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে কথা বলেছেন জবির সেই বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম। তার দাবি, নিজের দোষে ফেল করেছে মিম। কারণ পরীক্ষায় ১০০ মার্কসের মধ্যে পাস ৪০ থাকলেও সে পেয়েছে ২৩.৫০। যার সমাধান টানতে সেই ছাত্রী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে আদালত থেকে সেটার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এ বিষয়ে দুই পক্ষকে মুখোমুখি করতেই বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল তাদের। তারা ডিবির সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন।

এসময় জবি ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম বলেন, নিজের দোষে ফেল করেছে মিম। তাকে ডেকেও মিড টার্ম বা এসাইনমেন্ট করানো যায়নি। ১০০ মার্কসের মধ্যে পাস ৪০ এ। সেখানে সে পেয়েছে ২৩.৫০।

মীম আসলে কত মার্কস পেয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে মূলত ১০০ মার্কসের মধ্যে পেয়েছিল ২৩.৫০। যেহেতু সে ৪০ পায় নাই স্বভাবত সে ফেল। ১০০ মার্কসের মধ্যে ৪টা বিষয়। ৪০ মার্কসে সে জিরো। বাকি ৬০ এরমধ্যে সে ২৩.৫০। বার বার চেয়েও এসাইনমেন্ট জমা দেয় নাই। রেজাল্ট তো ঝুলেছে। চেয়েও দেয় নাই আরেকটা ছেলে শাহরিয়ার। এটাই বিষয়।

তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থী ম্যাডামের ৪০ মার্কসের কোনো কাজে যোগ দেয় নাই। মিড টার্ম বা এসাইনমেন্টও জমা দেয়নি। তিনবার নোটিশ দিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষক মিড টার্ম নিয়েছে। কিন্তু মিম যোগাযোগও করেনি। শিক্ষক তো আর অনন্তকাল বসে থাকবে না। সে কারণে সে জিরো পেয়েছে। এখন তার পাস ফেল তো বাকি ৬০ মার্কসের মধ্যে। সেখানে যদি সে ৪০ পাইতো তাহলেও সে পাস করতো। কিন্তু সেটা সে পায়নি।

মিম সেকেন্ড ইয়ারে ফেল, এরপর চতুর্থ সেমিস্টারে আরেকটা কোর্সেও ফেল আছে দাবি করে তিনি বলেন, সপ্তম সেমিস্টারে কনটিউনিটি ফিল্ম রাইটিং কোর্স আছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমরা চারটা করাই। খুবই কঠিন। সিনেমা তৈরি করতে এসব শেখানো হতো।

তিনি আরও বলেন, পাস করতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া ফেল করলে সে দায় তো শিক্ষকের না। তিনটি সেমিস্টারে সে একই কাজ করেছে। অনার্সের যে রেজাল্ট হয়েছে সেখানে তাদের ফেল আছে।

চেয়ারম্যান হালিম বলেন, অভিযোগ তো দুই রকমের। এর মধ্যে একটা যৌন হয়রানি সংক্রান্ত। সেটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার ফলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট (তদন্তকারী, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সাক্ষি) কেউ কথা বলতে পারব না। এটা বিচারাধীন।