নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারে ছাত্রলীগের মেহমানখানা


Desk report | Published: 2024-03-21 11:47:57 BdST | Updated: 2024-04-28 10:43:38 BdST

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় গেইটের নিকটবর্তী স্থানে রোজাদারদের ইফতারি করানোর উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রিয়েলের উদ‍্যোগে প্রথম রমজান থেকে চালু ‘ছাত্রলীগের মেহমানখানা’র কার্যক্রম চলবে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়ার আগ পযর্ন্ত ।

সকলের জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজন থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ জন প্রতিদিন মেহমানদারি গ্রহণ করতে পারেন। ইফতারের প্রায় ১ ঘণ্টা আগে থেকেই মেহমানখানায় আসতে শুরু করেন রোজাদার মুসল্লিরা। উক্ত মেহমানখানা হতে নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিকশা চালক, ভ্যানচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ মেহমানদারি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

পহেলা রমজান থেকে আজ পযর্ন্ত ‘মেহমানখানা’ হতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন ৭ শতাধিক মেহমান। সম্প্রতি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঝামেলার পর ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখায় একদিনেই মেহমানখানার পক্ষ থেকে ৩০০ জনের জন্য ইফতার আয়োজন করা হয়।

ইফতার সংগ্রহ করতে আসা বয়োজ্যেষ্ঠ সাইফুল ইসলাম বলেন, গরিব মানুষের জন্য ভালো। প্রতিদিনই আমি ইফতার নেই।গতবারও এখানে ইফতার দিছে। এইবার ও দিচ্ছে।

এছাড়া দ্বিতীয় গেটে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আশরাফ জানায়, আমাদের ৫-৬ জন আনসার প্রতিদিনই মেহমানখানা থেকে খাবার সংগ্রহ করে। সবাই তো এ ধরনের উদ্যোগ নিতে চায় না, এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

এই কাজে সহযোগিতাকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদুল ইসলাম রিয়েল ঢাকা মেইলকে বলেন, এই আয়োজনে আলহামদুলিল্লাহ সকলের খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। ইফতার হাতে পাওয়ার পর কিছু মানুষের মুখের হাসি আমাদের এই কাজে আরো উৎসাহ যোগায়। 'ছাত্রলীগের মেহমানখানা' এই নাম দেওয়ার কারন হচ্ছে এখান থেকে যারা ইফতার নেন তারা সবাই আমাদের মেহমান। সোয়াব এর আশায় পবিত্র রমজান মাসে আমরা রোজাদারদের ইফতার করাচ্ছি । তাই আমাদের মেহমানখানায় আসতে কেউ দ্বিধা বোধ করবেন না। আমি যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আছি ততদিন আমি এটির আয়োজন করে যাবো। আর আমি যখন থাকবো না আমি আশা রাখবো যারা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে তারা এটা ধরে রাখবে।