রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এ অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসলে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আক্তার হোসেন মজুমদার।
তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা প্রক্সি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি উপাচার্যের দৃষ্টিতে আনলে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণে তিনি উপর্যুক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।'
কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমানকে সভাপতি ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান ও আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্লা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগ করা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে চার জনকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা। তাদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সনি, আইন বিভাগের ফাহিম আল মামুন বর্ণ, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শোভন।