ঢাবিতে অন-ক্যাম্পাস চাকরি চালু, পরিবেশবান্ধব শাটল বাসে কাজের সুযোগ শিক্ষার্থীদের


ঢাবি প্রতিনিধি | Published: 2025-05-13 21:36:33 BdST | Updated: 2025-05-18 03:30:37 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অন-ক্যাম্পাস চাকরি’ চালু করেছে পরিবেশবান্ধব সংগঠন গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ। পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাম্পাসে চালু হওয়া চারটি বৈদ্যুতিক শাটল বাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন।

১৪ আসনের এসব বাসে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার শিফটে চারজন করে শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করছেন। প্রাথমিকভাবে ৩২০ জন শিক্ষার্থী এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ জন পূর্ণকালীন এবং ২৫০ জন খণ্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করছেন।

বিজ্ঞাপন

চাকরির ধরন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে—সাধারণ কর্মী ৮ হাজার টাকা, সমন্বয়কারী ১২ হাজার টাকা এবং নির্বাহী ১৫ হাজার টাকা। খণ্ডকালীনদের বেতন দেওয়া হচ্ছে ঘণ্টাপ্রতি নির্ধারিত হারে।

গ্রিন ফিউচারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খালিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের উৎপাদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা। এতে তারা একদিকে সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হচ্ছে, অন্যদিকে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতাও অর্জন করছে।”

তিনি জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত ‘থ্রি-জিরো’ (দারিদ্র্যমুক্তি, বেকারত্বমুক্তি ও কার্বন নিঃসরণ শূন্য) ধারণা অনুসরণ করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবেই চালু হয়েছে ‘চুক্তিভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি তিন ঘণ্টা চাকরি’ মডেল।

বৈদ্যুতিক শাটল বাসগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে এবং ‘ME’ কোম্পানির মাধ্যমে এলসি করা হয়েছে। একবার চার্জে এসব বাস সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম। চলমান তিন থেকে ছয় মাসের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে বাসগুলো পরিবেশ ও রাস্তাঘাট উপযোগী প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে আরও ১০টি বাস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

খালিদ হোসেন জানান, অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে শাটল বাস চালানোর আগ্রহ দেখিয়েছেন। আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স প্রদান করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের দিয়েই শাটল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস, ক্লিন ক্যাম্পাস’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে কাজ করছে।

ভবিষ্যতে বাসগুলো সৌরশক্তি ব্যবহার করে চার্জ দেওয়া সম্ভব হলে এটি আরও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থায় রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।