রাবি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা


রাশেদ রাজন | Published: 2018-03-10 16:00:58 BdST | Updated: 2024-05-10 22:57:12 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক এনামুল হক জহিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক মারধরের ঘটনায় আবারও ১০ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।

গত বুধবার দুপুরে এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম স্বপ্রনোদিত হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে মামলার বাদী এ্যাডভোকেট কামরুল হাসান জানান, ‘বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষককে লাঞ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে অপমানিত করা হয়েছে। সকল আইনজীবী সমাজ ‘ফাকিং ল, বলেছেন আসামিরা। তাই আমরা মামলাটি করেছি।’

তিনি আরও জানান, ২০০৬ সালের ৫৭/৬৬ ধারায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল (ঢাকা) এ মামলায় দশ ইন্টার্ন চিকিৎসককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন- মেরি প্রিয়াংকা, মির্জা কামাল হোসাইন, লুৎফর রহমান, শরিফুল ইসলাম, ফারজানা নিপা, দেব প্রিয় দাশ, মামুনুর রশিদ, তাওহিদ হোসেন রোমেল, রুমানা বিনতে রেজা, মুহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এদের মধ্যে মেরি প্রিয়াংকা, মির্জা হোসাইন কামাল, লুৎফর রহমান, দেবপ্রিয় দাস রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক। অন্যরা দেশের বিভিন্ন মেডিকেলের চিকিৎসক।

এজাহারে বলা হয়েছে, ফেসবুক ও অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রকে ভেড়া, ছাগল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আইনজীবী সমাজকে ‘ফাকিং ল’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

এজাহারে উল্লেখিত, ৪ নম্বর আসামী শরিফুল নামের ফেসবুক ওয়ালে প্রচার করেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী ভেড়া ছাগল হয়ে গেল। যে ছাত্রীগুলো কান্না করছিল যে ইন্টার্ন চিকিৎসককে ‘ফাক ইউ’ বলা হয়েছে তার পাশে না দাঁড়িয়ে শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাহলে রাবিতে কি মেয়েদের পতিতাবৃত্তি শেখান হয়?’।

এছাড়া, উক্ত মামলায় ৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তারা হলেন, নাজিম মৃধা, সাইফুল ইসলাম, মানিক চাঁন। এরা রাবির আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।
ঢাকা শাহবাগ থানার ওসি জানান, এ মূহুর্তে বলতে পারবনা। আমার নলেজে নেই।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের জন্য ওষুধ কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে ইন্টার্ন চিকিৎসক মেরি প্রিয়াঙ্কার সাথে ধাক্কা লাগার ঘটনায় রাবির আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম
এনামুল জহিরকে মারধর করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে ঘটনায় দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর সার্কিট হাউসে দু’পক্ষের বৈঠকে একে অপরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

এসএম/ ১০ মার্চ ২০১৮