আবারও কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত


Dhaka | Published: 2020-10-04 01:19:17 BdST | Updated: 2024-05-02 22:21:48 BdST

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফে'র সভাপতি পদে আবারো নির্বাচিত হলেন কাজী সালাহউদ্দিন। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক হোটেলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মহল থেকে তার বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন ওঠে ।এবং অনেকে বর্জনের ডাক দেন ।কিন্তু তা সফল হলো না।আবারো নির্বাচিত হলেন কাজী সালাহউদ্দিন।

এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন তিনি। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বাফুফে নির্বাচন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দেন ১৩৫ জন। মোট ৯৪টি ভোট পেয়ে আবারো সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন।

এছাড়া সিনিয়র সহ সভাপতি পদেও বহাল রইলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি পেয়েছেন মোট ৯১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি ভোট।

এক নজরে কাজী সালাউদ্দিন

জন্মঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩
বাংলাদেশের ফুটবল জগতে এক চিরস্মরণীয় নাম কাজী সালাউদ্দিন। বাংলাদেশের ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন ১৯৭১ সালে দেশের জন্য খেলেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে। তিনিই প্রথম বাঙ্গালী ফুটবলার যিনি পেশাদার লীগ খেলার জন্য হংকং গিয়েছিলেন। কাজী সালাউদ্দীন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ফুটবল ফেডারেশনের কাজের বাইরে কাজী সালাউদ্দিনের নিজস্ব ব্যবসা আছে।

জন্ম ও পারিবারিক জীবন
কাজী সালাউদ্দিনের পিতা কে এম শফি ব্যবসায়ী ছিলেন। মাতা সিমকী শফি গৃহিনী। ২ ভাই ১ বোন। ১৯৭২ সালে বিয়ে করেছেন। স্ত্রী ইমা সালাউদ্দিন গৃহিনী। ১ ছেলে ১ মেয়ের জনক কাজী সালাউদ্দিন।

শিক্ষাজীবন
বিএএফ শাহীন স্কুলে পড়াশুনার শুরু। ১৯৬৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর ঢাকা কলেজ, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পড়াশুনা শেষ করেন।

ম্যানেজার সালাউদ্দিন
ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার পর কাজী সালাউদ্দিন তাঁর ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। আবাহনীর ম্যানেজার হিসেবে ১৯৮৫ সালে তিনি কাজ শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে আবাহনী ১৯৮৫ সালে সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল টিমে উন্নীত হয়। সে বছরই তিনি বাংলাদেশ টিমের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি আবাহনীর কোচ হন। এশিয়ান কাপ ফুটবল এর দায়িত্ব পান ১৯৮৮ সালে। আবুধাবীতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। কিছুদিন বিরতির পর তিনি আবার আবাহনীর কোচ হিসেবে কাজ করেন ১৯৯২ সালে। ১৯৯৪ সালে তিনি আবাহনী থেকে অবসর নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেটাই তাঁর জীবনের কোচ হিসেবে শেষ কাজ।

সংগঠক সালাউদ্দিন
২০০৩ সালে কাজী সালাউদ্দিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাশনাল টিমের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে চেয়ারম্যান হন। এছাড়াও তিনি আছেন এএফসির অডিট কমিটির কো-চেয়ারম্যান পদে।

প্রিয় পোশাক
সাধারণ সময়ে টি-শার্ট পরেন। আর বাসায় থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান থাকলে আনুষ্ঠানিক শার্টের ওপরে চাপিয়ে নেন ব্লেজার। গুচি, হুগো বস ও চেরোটিসহ নানা ব্র্যান্ডের স্যুট তিনি পছন্দ করেন। শার্ট সাধারণত এক রঙাই পরেন। পোশাকের ক্ষেত্রে সাদাকালো, হালকা নীল বা হালকা রঙের পোশাককে প্রাধান্য দেন। পাঞ্জাবি তাঁর তেমন একটা পরা হয় না। আরমানি ও বুলগেরির সুগন্ধিই সাধারণত ব্যবহার করেন।

তার ভালোলাগা
খুব বই পড়ার অভ্যাস তাঁর। তাঁর বাড়ির প্রত্যেক সদস্য বইয়ের পোকা। বাড়িতেই আছে বিশাল লাইব্রেরি। দিনে যেহেতু সময় পান না, তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বইয়ের কয়েকটা পৃষ্ঠা হলেও পড়েন। অর্থনীতি, দর্শন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বই পড়াতে ভালোবাসেন তিনি। একটা সময় ফুটবল খেলার বুট সংগ্রহ করতেন, এখন আর সেই শখ নেই। সংগ্রহের তালিকায় স্থান নিয়েছে বই। কোথাও গেলে পছন্দের বই কেনেন। খাবারের মধ্যে দেশি কাচ্চি বিরিয়ানি ও চীনা খাবার ভালোবাসেন।