যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। এখন ঘোষণা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। উইসকনসিন, আরিজোনা, নেভাদা ও পেনসিলভেনিয়ায় ভোট গণনার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কমে আসছে ভোটের ব্যবধান।
ফক্স নিউজের তথ্য অনুসারে মিশিগানে জয় পেয়েছেন জো বাইডেন যেখানে রয়েছে ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট।
ফক্স নিউজ বলছে, জো বাইডেন ইতিমধ্যে ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন যেখানে চ্যাম্পিয়ন ২১৪ টি।
অন্যদিকে বাইডেনের যে তিনটি রাজ্যতে এগিয়ে রয়েছেন সেখানে মোট ইলেকটোরাল ভোট হচ্ছে ৩২টি। এই তিনটি রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট বাইডেনের ঝুলিতে গেলে বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল ভোট হবে ২৭০টি। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার জন্য প্রয়োজন।
এদিকে বাইডেনের ভোট ক্রমেই বাড়লেও ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে উভয় শিবিরে। বাইডেন তার সমর্থকদের বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ধৈর্যের সঙ্গে ফলাফলের জন্য অপেক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। ডাকযোগের ভোটে বাইডেন বহুলাংশে এগিয়ে রয়েছেন এমন আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল।
ফলাফলের জন্য অপেক্ষমাণ রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা মোট ৬৩টি। বর্তমান ইলেক্টোরাল ভোটে বাইডেন ২৩৮, ট্রাম্প ২১৩। অন্যদিকে অধৈর্য হয়ে উঠেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এদিকে ট্রাম্প জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়েছেন। ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে যে সব ভোট গণনা চলছে সবই ডাকযোগে আসা এবসেন্টি ব্যালট। মিশিগানের সবচেয়ে বড় কাউন্টি ওয়েইন। এই কাউন্টিতে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর বসবাস। এটি ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি বলে পরিচিত। এখানে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ১শ’ ১৫টি। এরমধ্যে মাত্র ৬শ’ ৫৯টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে।
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড় শহর ডেট্রয়েট, গ্রেন্ডস রেপিডস,ওয়ারেন, স্টারলিং হাইটসের এবসেন্টি ভোট গণনা চলছে। কেন্ট কাউন্টির ভোট গণনা শেষ হয়নি। কাউন্টি ক্লার্ক ক্যাথি বারেট জানান, এসব ভোট গণনা করতে সময় প্রয়োজন। মিশিগান সেক্রেটারি অব স্টেট জসেলিন বেনসন সিএনএন’কে জানান, দিনের শেষে ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই অবস্থা পেনসিলভেনিয়ার। এই রাজ্যের এখনও গণনার বাইরে থাকা ভোট বাইডেনের বাক্সে পড়বে নিঃসন্দেহে। পেনসিলভেনিয়ায় প্রায় ২৫ ভাগ ভোটের ফলাফল বাকি আছে।
উল্লেখ্য, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিনে ২০১৬-তে ট্রাম্প তিনটি রাজ্য মিলিয়ে মাত্র ৭৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এর অনেক বেশি ভোট এখনও গণনার অপেক্ষায়। সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে হয়তো বা দু’-একদিন সময় লাগতে পারে।
