হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী সংসদ সদস্যদের গণপদত্যাগ


Dhaka | Published: 2020-11-12 12:15:44 BdST | Updated: 2024-05-10 19:34:44 BdST

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে একযোগে পদত্যাগ করেছেন বিরোধী দলীয় আরও ১৫ সংসদ সদস্য (এমপি)। শহরটির ৭০ সদস্যের পার্লামেন্টে তারাই ছিলেন অবশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী নেতা।

বুধবার দিনের শুরুতে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কার করেন হংকংয়ের নির্বাহী।

কিছুদিন আগেই বেইজিং একটি নতুন বিল পাস করেছে, যার ফলে আদালতের নির্দেশ না নিয়েই সংসদ সদস্যদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা পেয়েছে সরকার।

ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও এমপি যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হন, তারা যদি হংকংয়ের স্বাধীনতার কথা বলেন এবং শহরটির ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করেন অথবা বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেন, তবে তাদের বহিষ্কার করা যাবে।

মঙ্গলবার ও বুধবার দুইদিন ধরে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা শেষে পাস হয় বিলটি।

কিন্তু এই ক্ষমতা ব্যবহার করে গণতন্ত্রপন্থী কোনও এমপি’কে বহিষ্কার করা হলে সমমনা সবাই একযোগে পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হংকংয়ের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা।

বুধবার হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী জোটের আহ্বায়ক উ চি-ওয়াই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ আমরা পদত্যাগ করছি। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দয় পদক্ষেপে আমাদের অংশীদারদের, আমাদের সহকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদিও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য আমরা অনেক সমস্যার মুখে রয়েছি, তারপরও কখনোই হাল ছাড়ব না।

গণতন্ত্রপন্থী এ নেতা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার তারা পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া ওই চার সংসদ সদস্য হলেন- সিভিক পার্টির আলভিন ইয়েয়ুং, কোওক কা-কি, ডেনিস কোওক এবং প্রফেশনালস গিল্ডের কেনেথ লিউং।

এর আগে, এই চারজনসহ মোট ১২ আইনপ্রণেতাকে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ভোটের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

হংকং পার্লামেন্টের মোট ৭০টি আসনের মধ্যে গণতন্ত্রপন্থীদের দখলে রয়েছে ১৯টি আসন। কিন্তু তাদের চারজন বহিষ্কার এবং বাকি ১৫ জনের পদত্যাগের ফলে সেখানে এখন আর গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ রইলেন না।