ইবিতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-11-30 00:17:52 BdST | Updated: 2024-03-29 02:34:03 BdST

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হবে। চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এ বছর ৮টি ইউনিটের অধীনে ৩৩টি বিভাগে মোট ২ হাজার ২৭৫ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৮৭ হাজার ৩৬৮টি। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৩৮ জন ভর্তিচ্ছু।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ফরেন স্টুডেন্ট সেল। দক্ষিণ এশিয়া, সার্কভুক্ত ও মধ্যপ্রাচসহ সকল দেশের শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। প্রতি বিভাগে দুইজন করে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।

ভর্তি পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

পরীক্ষার সময়সূচি :
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫ দিন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন মোট চার শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ১ম শিফট সকাল ৯টা থেকে ১০টা, দ্বিতীয় শিফট বেলা ১১টা থেকে ১২টা, তৃতীয় শিফট দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা এবং ৪র্থ শিফট বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

প্রথম দিন (১ ডিসেম্বর) প্রথম শিফটে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভুক্ত ‘এফ’ ইউনিট এবং ২য় ও ৪র্থ শিফ্টে একই অনুষদ ভুক্ত ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২ ডিসেম্বর প্রথম, ২য় ও ৩য় শিফটে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় দিন (৩ ডিসেম্বর) ১ম ও ২য় শিফটে ব্যবসায় অনুষদ ভুক্ত ‘জি’ ইউনিট এবং ৩য় ও ৪র্থ শিফ্টে আইন ও শরিয়াহ অনুষদ ভুক্ত ‘এইচ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৪ ডিসেম্বর প্রথম শিফ্টে থিওলোজি অনুষদ ভুক্ত ‘এ’ ইউনিট এবং ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শিফ্টে মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ ডিসেম্বর ১ম, ২য় ও ৩য় শিফটে মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ :
ভর্তি পরীক্ষার মান হবে ১২০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার মান হবে ৮০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সাথে পরীক্ষার্থীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ (সর্বোচ্চ ৫+৫=১০ নম্বর)-কে ৪ দিয়ে গুণ করে প্রাপ্ত নম্বর সর্বাধিক (২০+২০=৪০) নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ওএমআর পদ্ধতিতে উত্তর মূল্যায়ন করা হবে। ভুল উত্তরের জন্য .২৫ নম্বর কাটা যাবে। একজন পরীক্ষার্থী ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩২ পেলে কৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন।

ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি ইউনিটের অধীনে মোট ৩৩টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

‘এ’ ইউনিট : ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ৩টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় আরবীতে ১০, আল কুরআনে ১৫, আল হাদীসে ১৫, দাওয়ায় ১০, ইসলামী শিক্ষায় ৫, আল ফিকহে ৫, ইসলামের ইতিহাসে ৫, বাংলায় ৫, ইংরেজিতে ৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে ৫ নম্বর থাকবে।

‘বি’ ইউনিট : মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভূক্ত ৫টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০, এবং সাধারণ জ্ঞানে ২০ নম্বর থাকবে। বাংলা বিভাগে ভর্তির জন্য বাংলা বিষয়ে নূন্যতম ১৮ নম্বর পেতে হবে। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম ১৮ নম্বর পেতে হবে এবং মাধ্যমিক/ সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক/ সমমান পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আরবী বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান উভয় ক্ষেত্রে আরবী ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম ১৩ নম্বর পেতে হবে।

‘সি’ ইউনিট : সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভূক্ত ৫টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ৩০, সাধারন জ্ঞানে ৩০ এবং বাংলায় ২০ নম্বর থাকবে। এই অনুষদেও অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে নূন্যতম ১২ নম্বর পেতে হবে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে নূন্যতম ১৫ নম্বর পেতে হবে।

‘ডি’ ইউনিট : ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভূক্ত ৫টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় রসায়নে ৩০, জীব বিজ্ঞান/গনিতে ৩০, পদার্থ বিজ্ঞানে ১০ এবং ইংরেজিতে ১০ নম্বর থাকবে। ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ভর্তির জন্য এইচএসসি পর্যায়ে গনিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে এবং রয়াসনে নূন্যতম ১২ নম্বর পেতে হবে। ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পর্যায়ে অবশ্যই জীব বিজ্ঞান পঠিত বিষয় হিসেবে থাকতে হবে এবং এমসিকিউ এর জীব বিজ্ঞানে নূন্যতম ১০ পেতে হবে। ফার্মেসি বিভাগে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় রসায়ন, জীব ও গণিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে এবং এমসিকিউ এর রয়াসন, জীব বিজ্ঞান/গণিতের প্রতিটিতে নূন্যতম ১২ নম্বর পেতে হবে।

‘ই’ ইউনিট : ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভূক্ত ৪টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান ৪০ এবং গণিতে ৪০ নম্বর থাকবে। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কৃতকার্য হওয়ার জন্য প্রত্যেক বিষয়ে নূন্যতম ১৪ নম্বর পেতে হবে। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কৃতকার্য হওয়ার জন্য প্রত্যেক বিষয়ে নূন্যতম ১৪ নম্বর পেতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় রসায়ন, জীব বিজ্ঞান ও গণিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে।

‘এফ’ ইউনিট : ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভূক্ত ২ টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় গনিতে ৬০ এবং ইংরেজিতে ২০ নম্বর থাকবে। কৃতকার্য হওয়ার জন্য গনিত বিষয়ে নূন্যতম ২৪ নম্বর এবং ইংরেজিতে ৫ নম্বর পেতে হবে।

‘জি’ ইউনিট : ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভূক্ত ৬ টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি ৪০ বাধ্যতামূলক সকল শাখার জন্য। বানিজ্য শাখা থেকে আগতদের জন্য ব্যবসায় শিক্ষায় ২০ এবং হিসাব বিজ্ঞানে ২০ নম্বর থাকবে। অন্যান্য শাখা থেকে আগতদের জন্য সাধারন গণিতে ২০ এবং সাধারন জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তায় ২০ নম্বর থাকবে। কৃতকার্য হওয়ার জন্য প্রত্যেক শাখার জন্য ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম ১৬ নম্বর পেতে হবে।

‘এইচ’ ইউনিট : আইন ও শরীয়াহ অনুষদ ভূক্ত ৩ টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং সাধারন জ্ঞান ২০ নম্বর থাকবে। আইন ও ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে নূন্যতম ১৫ নম্বর পেতে হবে। আল ফিকহ্ বিভাগে ভর্তির জন্য অবশ্যই আরবী ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য:

ভর্তি পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় নূন্যতম ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৩২ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। এবার ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার বিষয়টি চালু হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা শেষের তিন দিনের মধ্যে সকল ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার স্থান, আসন বিন্যাস ও ভর্তি সক্রান্ত অন্যান্য তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের অফিস থেকে জানা যাবে।

পরীক্ষার হলে যা আনতে হবে :
ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের দুই কপি। উভয় কপি পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিদর্শক সত্যায়িত করবেন। উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র প্রত্যেকটির দুই কপি।

পরীক্ষার হলে যা বর্জনীয় :
পরীক্ষার হলে কোন ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষার্থীকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়া মোবাইল, বøুটুথ, ক্যালকুলেটর, ঘড়িসহ সকল প্রকার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ থাকবে।

এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

আরএম/ ২৯ নভেম্বর ২০১৭

//