শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানা চালানোর নির্দেশ


টাইমস ডেস্ক | Published: 2020-05-03 21:14:52 BdST | Updated: 2024-06-17 15:44:55 BdST

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পোশাক কারখানা পরিচালনা করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (৩ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু রাখা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মূল বিষয় ছিল পোশাক শিল্পের গার্মেন্টসগুলো কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করবে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে মূল ফোকাস ছিল ফ্যাক্টরি চালানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা যেন আমাদের শ্রমিকরা পায়। তারা যেখানে কাজ করবে সেখানে যেন মিনিমাম দূরত্ব থাকে, তাদের পরিবহন যাতে সঠিক হয়, তাদের থাকা-খাওয়ার বিষয়টিতেও যেন গুরুত্ব দেয়া হয়। তাদের কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হলে সেটি যেন করা হয়। আমাদের তিনটি হটস্পট নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুরের এলাকাগুলোর বিষয়ে বিশেষভাবে দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। এখান থেকে যেন কেউ বাইরে না যায়, এবং বাইরের কেউ যেন না ঢুকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টসে যারা মালিক আছেন তারা যেন সকল সুবিধাগুলো তৈরী করে দেন। টেস্টের প্রয়োজন হলে তারা যেন করতে পারেন সে বিষয়টি তারা দেখবেন এবং আমরাও সেই এড়িয়াতে টেস্টের ব্যবস্থা করব। গার্মেন্টস শিল্পের স্বাস্থ্যবিধি মনিটর করার জন্য আলোদা একটি কমিটি করা হবে। প্রতিটি ফ্যাক্টরিতে একটি করে মেডিকেল টিম থাকবে, সেই টিম আমাদের নির্দেশনা পালনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। তারা ন্যাশনাল কমিটির কাছে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট করবেন। কোন ফ্যাক্টরিতে বেশি আক্রান্ত হলে দরকার হলে সেটি কিছুদিনের জন্য শাটডাউন করা হবে।

পরিবহনের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে গার্মেন্ট মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউন চলাকালে এই এড়িয়ার ভিতরে চলে এসেছে তাদের এখানেই থাকতে হবে। লকডাউন না উঠা পর্যন্ত তাদের সেই এড়িয়া থেকে বের হতে দেয়া হবে না। তবে কেউ যদি কোন কারণে চলে যায়, সকল জেলায় গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করা ব্যক্তিদের লিস্ট করতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি। তাদের লিস্ট সেখানে থাকবে, কেউ ফেরত গেলে বাড়িতে তাকে লকডাউন করা হবে।

এসময় স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, আজ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর- এই তিনটি জায়গায় সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে। কিভাবে এগুলোকে আলাদা করে রাখতে পারি এবং কিভাবে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে যদি বেশি সংক্রমিত হয় তাদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার করা, হাসপাতাল নির্ধারন করা এবং প্রয়োজনে টেস্ট কিভাবে বেশি করা যায় সেটি নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ফ্যাক্টরিগুলোতে সংক্রমণ রোধে তারা যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন তা গ্রহন করবেন। এবং ফ্যাক্টরিতে ঢোকার আগে এবং সেখানে থাকার সময়ে কি কি ব্যবস্থা নেবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ- এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।