বিশ্ব বাঘ দিবস আজ


ঢাকা | Published: 2023-07-29 20:33:36 BdST | Updated: 2024-04-28 22:57:21 BdST

রিশাদ হোসেন, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বিশ্বে বাঘ সংরক্ষণের জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৯ জুলাই তারিখে পালন করা হয় বিশ্ব বাঘ দিবস। ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ব্যাঘ্র অভিবর্তনে এই দিবসের সূচনা হয়। এই দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এর সম্পর্কে থাকা ভুল ধারণা ও ভয় দূর করা। প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে এই দিবস পালন করা হয়।

বাঘ বাংলাদেশের জাতীয় পশু হওয়ার কারণে এখানে এই দিবসের মহত্ত্ব বেশি ধরা হয়। বেঙ্গল টাইগার ভারতীয় উপমহাদেশের অঞ্চলে পাওয়া রাজসিক মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে একটি। এটি সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশগত দিকগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। বিগত কয়েক বছর ধরে বাঘের সংখ্যার একটি তীব্র হ্রাস অনুভূত হয়েছে। নৃতাত্ত্বিক এবং শিকারের ঘনত্বের পতনকে বাঘ হ্রাসের প্রধান হুমকি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাঘের জনসংখ্যাকে স্থিতিশীল এবং বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু সংরক্ষণ কর্ম ও কৌশল দুজন বিশেষজ্ঞের আলোচনা সাপেক্ষে তুলে ধরা হয়েছে।

এসিআই গোদরেজ প্রাইভেট লিমিটেড আঞ্চলিক নির্বাহী (গবাদি পশু) মো: নরুল আলম বলেন, বাঘ সংরক্ষণের জন্য বাঘ এবং তাদের বাসস্থান রক্ষা করতে হবে, বাঘ এবং মানুষের সংঘাত কমাতে হবে, বাঘ বান্ধব নীতি প্রচার করতে হবে, বাঘ শিকার বন্ধ করতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা, বাঘের আলাদা পার্ক তৈরি করা, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা করা , বাঘ চোরাচালান বন্ধ করা ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ও পশু প্রজনন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাহমিনা বিলকিস বলেন, আমাদের দেশে বাঘ ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। দিন দিন সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানগ্রোভ অঞ্চল পানির নীচে চলে যাচ্ছে যার ফলে ম্যানগ্রোভ অঞ্চল অর্থাৎ ম্যানগ্রোভ এর স্থলজ অঞ্চল কমে যাচ্ছে এর ফলে বাঘদের আবাস স্থল ছোট হয়ে যাচ্ছে। আবার অন্য দিকে বাঘদের খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাছে। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার কারণে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

কুকুরদের মধ্যে দেখা যায়, এক অঞ্চলের কুকুর অন্য অঞ্চলে গেলে ঐ অঞ্চলের ক্ষমতাশীল কুকুরগুলো নতুন কুকুরকে আক্রমণ করে বা তাড়িয়ে দেয়। তেমনি বাঘরা Unination এর মাধ্যমে হরমোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়ে ঐ অঞ্চলটা দখল করে নেয়। ফলে অন্যান্য বাঘ ঐ অঞ্চলে আর প্রবেশ করতে পারে না। একটা অঞ্চলের নতুন বাঘ যখন জন্ম নেয় তখন সে যখন অন্য অঞ্চলে আয়ত্ব করতে চায় তখন ঐ অঞ্চলের বাঘরা সেই নাবালক বাঘকে মেরে ফেলে। ফলে ঐ ভাবের দ্রুত সংখায় বৃদ্ধি পায়না।

বিকল্প হিসেবে চিড়িয়াখান বা সাফারি পার্কে কৃত্রিম বাসস্থানে বাঘদের ইন্টার ব্রিড করিয়ে তাদের বাচ্চাদের যদি উপযুক্ত অবস্থায় উপযুক্ত প্রাকৃতিক অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলে বাঘদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। বাঘদের যখন কৃত্রিম বাসস্থানে ইন্টার ব্রিড করা হয় তখন তাদের প্রত্যেক ব্রিডিং সময় যে কয়টা বাচ্চা হয় তাদের সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে উপযুক্ত করা হয়। ফলে মৃত্যুর পরিমাণ নগন্য।