ঢাবি সাবেক শিক্ষার্থী আবিরের পরিবারের জন্য জমা হলো ৮০ লাখ টাকা


Desk report | Published: 2024-01-03 18:14:38 BdST | Updated: 2024-04-28 18:35:19 BdST

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী শেখ আবির হোসেনের পরিবারের জন্য সারা বিশ্বের মানুষ ৩ দিনে প্রায় ৮০ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন। টেক্সাসের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শেখ আবিরের পরিবারের জন্য ফেসবুকে ‘গো ফান্ড মি’ অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত সারা বিশ্বের প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ তাঁর পরিবারের জন্য ৭২ হাজার ডলার (প্রায় ৮০ লাখ টাকা) অনুদান দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত শেখ আজিজুল হাকিমের ছেলে আবির। পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিষয়ে। একই বিষয়ে পড়ালেখা করা দুই বছরের বড় সাতক্ষীরার মানুষ রেজাউল করিম বলেন, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে সব সময় এগিয়ে আসতেন আবির। নতুন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতেন।

লামার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রকিবুল ইসলাম এই ‘গো ফান্ড মি’ অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সহকর্মী আবির সম্পর্কে তিনি বলেন, আবির পরিচিত-অপরিচিত সবার জন্য সব সময় পজিটিভ চিন্তা করতেন। সহযোগিতা করার চেষ্টা করতেন।

তহবিলে টাকা জমা পড়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শেখ আবিরের স্ত্রী সানজিদা আলম মজুমদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মানুষের ভালোবাসায় তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাঁর স্বামীকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।

জানা যায় সানজিদা স্বামীর মরদেহ আনতে নিউইয়র্ক থেকে টেক্সাসে গেছেন। ছুটির মৌসুমের কারণে এখনো ময়নাতদন্ত হয়নি। তিনি আশা করছেন, আজ আবিরের মৃত্যুসনদ ও মরদেহ পেয়ে যাবেন।

দোকানে আবিরের ভারতীয় সহকর্মী রিয়া ইগনার বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার সঙ্গে তিনি ভালো ব্যবহার করতেন। কখনো কোনো কাস্টমারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) টেক্সাসের বিউমন্টের একটি দোকানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন শেখ আবির হোসেন। তিনি ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেন।