
ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল ও ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল ১২ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে। পয়েন্টসম্যানের ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে রেল কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় পয়েন্টসম্যানকে বরখাস্ত এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের দুই কোচ ফরিদপুরের ভাঙ্গা বামনকান্দা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়লেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে লাইনচ্যুত কোচ দুইটি উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে দুইটি রিলিফ ক্রেনসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, গতকাল রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ দুইটি উদ্ধারে রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে দুইটি ক্রেন এনে লাইন সচল করতে কাজ করছি। পয়েন্টসম্যানের ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পয়েন্টসম্যান নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগন্যাল বা পয়েন্টস চেঞ্জ করেছে। ভুল করার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।’
হাচিনা খাতুন আরও বলেন, ‘আশা করছি দুপুর নাগাদ লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে।’
ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ বলেন, ‘ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর পরে গিয়ে ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সামনের ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান দুইটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনের ওপর চলে যায়।’
সুমন বাড়ৈ আরও বলেন, ‘পয়েন্টসম্যান নজরুল ইসলামের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রাত ৯টা ১০ মিনিট থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছেন। তবে দুপুর পর্যন্ত লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার বলেন, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়াতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতে সকল যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে চলে গিয়েছে।