মা দিবসে খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরলেন তারেক রহমান


বাসস | Published: 2025-05-11 20:10:49 BdST | Updated: 2025-05-29 09:08:33 BdST

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিশ্বের সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রোববার (আজ) বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি মাকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’

বিজ্ঞাপন

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজীবন নিরবচ্ছিন্ন লড়াই করেছেন। ত্যাগ, শ্রম, জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে তিনি দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার নারীদের শিক্ষা বিস্তারে বড় অবদান রেখেছিল। মেয়েদের স্কুলে টিকিয়ে রাখতে তিনি বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার অগ্রদূত ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

মা দিবসকে একটি আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ দিন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দিবসটি পরিবার ও সমাজে মায়েদের অবদানকে সম্মান জানানোর জন্য উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই দিনে মাতৃত্বের তাৎপর্য উদযাপন করা হয়। যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতিদিনই থাকে, তবু আলাদাভাবে তা প্রকাশ করার জন্য এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব অপরিসীম।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মা একজন বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান, যাঁর হাত ধরেই শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে। মা ক্লান্তি ও কষ্ট ভুলে সন্তানকে আগলে রাখেন। এক সুমাতার সান্নিধ্যে সন্তান প্রকৃত মানুষে পরিণত হয়। মা সন্তানের আত্মাকে করে পবিত্র, নির্মল ও আলোকিত। মা দিবস বিশ্বজুড়ে মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর এক অনন্য উপলক্ষ। "মা" শব্দটি ছোট হলেও এর গভীরতা বিশাল—তাতে থাকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মমতা ও স্নেহ।’

তিনি আরও বলেন, ‘শৈশবের আনন্দ-বেদনা কিংবা ভয়-ভরসা—সব অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আমি চাই, প্রতিটি মা তাঁর সন্তানকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হোন। সঠিক পথে সন্তানকে পরিচালিত করতে পারেন কেবল একজন সুমাতা। তাহলেই জাতির ভবিষ্যৎ হবে আরও আলোকোজ্জ্বল।’

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ‘মা’ শব্দটি পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দ। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি মায়েদের সম্মান জানানোর একটি বিশেষ উপলক্ষ। সমাজ ও রাষ্ট্রজুড়ে সব মাকে এই দিনে জানানো হয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

মা দিবস উপলক্ষে দেশে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

মা দিবসের ইতিহাস বহু পুরনো। মধ্যযুগে একটি প্রথা চালু ছিল, যেখানে মানুষ কাজের জন্য বাড়ি থেকে দূরে গেলে খ্রিস্টানদের ‘লেন্ট’ উৎসবের চতুর্থ রোববারে তারা বাড়ি ফিরে মায়ের সঙ্গে সময় কাটাত এবং শৈশবের চার্চে যেত।

আধুনিক মা দিবসের সূচনা যুক্তরাষ্ট্রে। আনা জারভিস নামে এক নারী দরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মায়েদের উৎসাহিত করতেন। ১৯০৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস এই কাজকে স্মরণীয় করতে উদ্যোগ নেন। সানডে স্কুলে প্রথমবারের মতো ‘মা দিবস’ পালন করেন তিনি।

১৯০৭ সালে এক বক্তব্যে মা দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন আনা মারিয়া। এরপর ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

সেই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানিসহ শতাধিক দেশে দিনটি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে পালিত হয়।