![ফাইল ছবি](https://campustimes.press/uploads/shares/PublicUniversity/cu-stu-20230116180659_(1)-01-2023-01-16-21-39-50.jpeg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিয়োগ সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় একজনকে চাকরিচ্যুত ও অপরজনকে পদাবনতি করে শাস্তি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। চাকরিচ্যুত হয়েছেন অ্যাকাউন্টস শাখার কর্মচারী আহমদ হোসেন ও অন্যদিকে পদাবনতি হয়েছেন উপাচার্যের সাবেক পিএস খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৫তম সিন্ডিকেট সভায় সোমবার ও মঙ্গলবার (৩০ ও ৩১ অক্টোবর) দ্বিতীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে শাস্তি প্রদানের এ সুপারিশ করে সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বদলির আদেশ দেয়া হয় সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সাহাবুদ্দিনকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল শিক্ষক নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারানোর।
সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, সিন্ডিকেট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে উপাচার্য দপ্তর থেকে বদলির সুপারিশ করে এক গ্রেড ডিমোশন দিয়েছে। সিন্ডিকেট মনে করেছে তাকে এক গ্রেড ডিমোশন দিতে হবে। কর্মচারী আহমদ হোসেনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে একটি মামলা করবে।
অন্যদিকে উপাচার্য দপ্তরের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায় খুঁজে পেয়েছে কমিটি।
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ফাইল হারানোর দায়ে মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিনসহ উপাচার্য দপ্তরে কর্মরত তৎকালীন অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী কোনোভাবে এড়াতে পারেন না। এছাড়া এ সংক্রান্ত সব তথ্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তদন্ত কমিটির কাছে পুরোপুরি গোপন করেছেন, যা অবাধ্যতা ও অসহযোগিতা।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি সুপারিশ না করলেও সিন্ডিকেট থেকে সর্বসম্মতিক্রমে মো. সাহাবুদ্দিনকে সতর্ক করাসহ উপাচার্য দপ্তর থেকে বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া পাঁচটি ফোনালাপ ছিল উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের ব্যক্তিগত সাবেক সহকারী খালেদ মিছবাহুল মুকাররবীন ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের কর্মচারী আহমদ হোসেনের সঙ্গে দু’জন নিয়োগপ্রার্থীর। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে উপাচার্যের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারীকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়।
অপর একটি ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলার শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন কর্মচারী আহমদ হোসেন। এ ঘটনায় একই বছর হাটহাজারী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সিন্ডিকেট সভায় এই নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ বাতিল ও জড়িতদের শনাক্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে পিএস রবীন ও আহমেদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।