ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এ জাতি ২০২১-এ এসে যে অবস্থানে আছে, আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে না হারালে ২৫ থেকে ৩০ বছর আগেই এ অবস্থানে থাকতো বাংলাদেশ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে গণহত্যা শুরু হয়েছিল। যখন অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে লক্ষ্যবস্তু করেছিল হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা। সে ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর দেশের সূর্যসন্তানদের তারা হত্যা করেছিল। যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে ছিলেন সুনামধন্য। কেউ শিক্ষাবিদ, কেউ চিকিৎসক, কেউ সাংবাদিক হিসেবে অসামান্য অবদান রেখেছেন দেশের জন্য।
তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল একটি জ্ঞানভিত্তিক, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর মানবিক সমাজ বিনির্মাণ। তাদের ক্ষুরধার লেখনী, বক্তৃতা ও আলোচনা সবকিছুই সমাজকে বড় আকারে ধাক্কা দিচ্ছিল। সেজন্যই হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা সূর্যসন্তানদের নির্বিচারে হত্যা করে। যাতে এ দেশ বিশ্বের সম্মানজনক স্থানে অবস্থান করতে না পারে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায় হবে তাদের যে স্বপ্ন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়াস চালানো। একই সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবনাদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও লেখকদের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
