ভারতের উত্তর প্রদেশে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষায় নকল বন্ধে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেয়ায় প্রায় ৬ লক্ষ ৬২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় (১০ভাগ) অংশ নেয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তারা।
সরকার বলছে, এই বছর থেকে পরীক্ষায় নকল দমন ও নকলবাজদের পাকড়াও করতে সরকার পরীক্ষার কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা , পুলিশ মোতায়েন ও কঠোর অবস্থানে ছিল শিক্ষকরা। আর সে প্রভাব বেড়েছে পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি।
সাম্প্রতিক দশকে ভারতে শিক্ষার মান অনেকে নীচে নেমে গেছে যার ফলে শিক্ষার্থীরা নকল প্রবণ হয়ে উঠছে। দেশটির সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে হলে শীর্ষ মার্কস এমনকি কোন কোন খেত্রে ৯৯ ভাগ মার্কসও পেতে হয়। আর তাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নকলের এ প্রভাব, মনে করছেন ভারতীয় শিক্ষাবিদরা।
উত্তর প্রদেশের শিক্ষা বোর্ডের সেক্রেটারি নীনা শ্রী ভাস্তভা বলেন, নকল এ প্রদেশে মাফিয়া আকার ধারণ করেছে। যা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ। আমরা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। এ ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে এই প্রদেশের শিক্ষার্থীদের মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ।
উত্তর প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীনেশ শর্মা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, সরকার এই বছর থেকে সন্দেহমূলক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোকে কড়া নজরে রাখছে এবং দুর্নীতি গ্রস্ত পরিদর্শকদের বহিস্কাররে নীতি অবলম্বন করছে। এরকম জালিয়াতির ফলে ভালো ছাত্ররা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আমরা এই বছর থেকে উত্তরপত্রও প্রকাশ করব। শীর্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের এটা প্রাপ্য। আর যাতে সকল শিক্ষার্থী জানতে পারে তারা পরীক্ষার খাতায় কেমন লেখলো।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ওয়াশিংটন পোস্ট অবলম্বনে
বিডিবিএস