মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের যোগ্যতা


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2018-06-03 11:18:14 BdST | Updated: 2024-04-19 13:50:59 BdST

সরকারী মেডিকেল কলেজ, বিডিএস(MBBS) কোর্স

মেডিকেল ভর্তির ওয়েবসাইট: www.dgsh.org.bd

বাংলাদেশের ১৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ১ম বর্ষ MBBS কোর্সে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহবান করা হবে।

১. আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হইতে হবে।

২. (ক) যাহারা ২০১৩ সনের পূর্ব এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি/দাখিল/’ও’ লেভেল/১০ গ্রেড/ সমমান পরীক্ষায় পাশ করিয়াছে তাহারা আবেদনের           যোগ্য   নহে।

(খ) যাহারা পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা ও জীববিদ্যাসহ এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম/এ-লেবেল/১২তম গ্রেড/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করিয়াছে তাহারাই কেবলমাত্র আবেদনের যোগ্য।

আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা

সকল দেশী বিদেশী শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি এবং এইচ এসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর যোগফল নূন্যতম ৮.০০ থাকিতে হইবে। কোন অবস্থাতেই এসএসি,এইচসি বা সমমান পরীক্ষার জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে গ্রহন যোগ্য হইবে না। শুধুমাত্র উপজাতীয় এবং তিনটি পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় কোটাভুক্ত আসনের প্রার্থীর ক্ষেত্রে জিপিএ এর যোগফল নূন্যতম ৭.০০ থাকিতে হইবে। তবে কোন অবস্থাতেই এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি এবং এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর নীচে গ্রহন যোগ্য হইবে না। কোন পরীক্ষায় রেফার্ড গ্রহন যোগ্য হইবে না। সকল ক্ষেত্রে এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক -র জীববিজ্ঞান এ নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ হইতে হইবে।

প্রার্থী মূল্যায়নের নম্বর বিভাজন(মোট নম্বর ২০০)

(ক) এস এস সি এবং এইচ এস সি এর ফলাফলের জন্য=১০০ নম্বর, এস এস সি=৪০ এবং এইচ এস সি=৬০, এস এস সি তে প্রাপ্ত জিপিএ-র ৮ গুন এবং এইচ এস সি- তে প্রাপ্ত জিপিএ -র ১২ গুন।

(খ) লিখিত পরীক্ষা (MCQ পদ্ধতি) =১০০ নম্বর। বিষয়বিত্তিক নম্বর বিভাজনঃ পদার্থবিদ্যা=২০, রসায়বিদ্যা=২৫, জীববিদ্যা=৩০ ইংরেজী-১৫ সাধারন জ্ঞান=১০(সিলেবাস এসচ এস সি/ সমমান)

(গ) লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাইবে।

৩. মেধা কোটায় ৮০% ও জেলা কোটায় ২০% প্রার্থী নির্বাচন করা হইবে।

৪. নির্বাচিত প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে অর্জিত মেধাস্থান/মেধা অবস্থান ও প্রার্থীর দেওয়া কলেজ পছন্দের ভিত্তিতে প্রার্থী কোন কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাইবে তাহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারন করা হইবে।

৫. ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়াকরুনণ, নীরিক্ষণ এবং ফলাফল চুড়ান্তকরুনণ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হইবে। SIF ফরম এবং উত্তরপত্র OMR মেশিনে পরীক্ষা করা হইবে।

৬. ভর্তির আবেদন পত্র — টাকা (ধার্যকৃত) পরিশোধ সাপেক্ষে নিদিষ্ট মেডিকেল কলেজ হইতে ফরম সংগ্রহ করা যাইবে। প্রার্থীকে নিজে আবেদনপত্র গ্রহন, ফমা এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহ করিতে হইবে।

মেডিকেল 

আবেদনপত্রের সহিত নিম্নবর্ণিত সনদ পত্র ও ছবি সংযুক্তি করিতে হইবে

  • এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি ও এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
  • এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি ও এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা পাশের সনদপত্র/ টেস্টিমোনিয়ালের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • জেলা কোটার দাবির ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটিকরুন্পোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার এর প্রত্যয়ন পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি
  • পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ এবং জেলা প্রশাসনের সনদপত্র ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চীপ বা জেলা প্রশাসক করুন্তৃক প্রদত্ত সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও ডেপুটি কমিশনার করুন্তৃক প্রদত্ত সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • মুক্তিযোদ্ধাওর সন্তানদের সংরক্ষিত আসনের জন্য প্রার্থীর পিতা/মাতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের স্বপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ও মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদপত্র বা ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীনে তৎকালীন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী করুন্তৃক প্রতি স্বাক্ষরিত সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য সম্বলিত আবেদন পত্র বাতিল হইয়া যাইবে এবং পরীক্ষার অবতীর্ণ/উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভুল তথ্য পাওয়া গেলে তাহার পরীক্ষা/ফলাফল বাতিল বলে গন্য হইবে।

বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহের নাম ও আসন সংখ্যা

কোড মেডিকেল কলেজের নাম আসন সংখ্যা
১১ ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। ১৭৫
১২ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। ১৭৫
১৩ বেগম খালেদ জিয়া মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা ১২৫
১৪ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ। ১৭৫
১৫ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম। ১৭৫
১৬ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী। ১৭৫
১৭ এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট। ১৭৫
১৮ শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল। ১৭৫
১৯ রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর। ১৭৫
২০ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা। ১০৭
২১ খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা। ১২৫
২২ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া। ১২৫
২৩ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর। ১০৭
২৪ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর। ১৩২
২৫ পাবনা মেডিকেল কলেজ, পাবনা। ৫০
২৬ নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী। ৫০
২৭ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার। ৫০
২৯ যশোর মেডিকেল কলেজ, যশোর। ৫০
৩০ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া। ৫০
                                                              সর্বমোট আসন সংখ্যা= ২৩৫০

 

  • আসন বন্টনঃ মেধা কোটায় ৮০% ও জেলা কোটায় ২০% আসন বন্টন করা হয়।
  • বিঃদ্রঃ উপরোক্ত আসনগুলো ছাড়াও মুক্তিযোদ্দাদের সন্তানদের জন্য অতিরিক্ত ৪০ টি ও উপজাতীয় শিক্ষার্থীদের জন্যে ২০টি আসন সংরক্ষিত থাকে।

৭. ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। যে কোন মেডিকেল কলেজ হইতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন একি কথা। ঢাকা, স্যার সলিমুল্লাহ ও শহীদ সোরহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে অতিরিক্ত চাপ পরিহার করার জন্য শুধু মাত্র ঢাকা বোর্ড হইতে পাশ করা ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ওই কলেজসমূহ হইতে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমাদিতে হইবে। ঢাকা বোর্ড হইতে পাশ করা ছাত্র/ছাত্রীরা ইচ্ছা করলে ঢাকা, স্যার সলিমুল্লাহ ও শহীদ সোরহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ছাড়াও যে কোন মেডিকেল কলেজ হইতে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারিবে।

৮. যাহার বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি ও এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক এর সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছে তাহাদের নম্বরপত্র GPA-তে পরিবর্তণ করিয়া নূন্যরম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হইবে।

(ক) ‘ও’ লেভেল বা এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি/সমমানের পরীক্ষা এর জন্য ৫টি বিষয় অর্থাৎ সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৫টি বিষয় বিবেচনা করা হইবে এবং ঐচ্ছিক বিষয় অর্থাৎ অতিরিক্ত বিষয় জিপিএ ২.০০ দুই পয়েন্ট এর অতিরিক্ত প্রাপ্ত নম্বর যোগ করা হইবে।

(খ) ‘এ’ লেভেল বা এইচ এস সি এর জন্য ৩টি বিষয় Biology, Chemistry & Physics) বিবেচনা করা হইবে। নির্ধারিত ১০০০ টাকা ফি প্রদান পূর্বক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের Equivalence Certificate সংগ্রহ করতে হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর।

ক্রমি নং মেডিকেল কলেজের নাম সর্বোচ্চ নম্বর-১ সর্বনিম্ন নম্বর-১ সর্বোচ্চ নম্বর-২ সর্বনিম্ন নম্বর-২
১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। ৭৪.৫ ৬৩.৭৫ ৮২.৫ ৬৯.২৫
২. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। ৬৫.২৫ ৬১ ৬৯.২৫ ৬৬.৫
৩. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম। ৬৪.৭৫ ৫৭ ৬৯.২৫ ৬৫
৪. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ। ৬২.৫ ৫৮.২৫ ৬৮.২৫ ৫৬.৫
৫. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী। ৬১.৫ ৫৬.২৫ ৬৫.৫ ৬৪
৬. এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট। ৬৪.৫ ৫৫.৫ ৬৫.৭৫ ৬০.৭৫
৭. রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর। ৬০.২৫ ৬৪ ৬৫.২৫ ৫৩.৫
৮. শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল। ৬০.৭৫ ৩৮.২৫ ৬৬.২৫ ৫৯.৫
৯. খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা। ৬২ ৪২.৭৫ ৬৭.৭৫ ৩৪.৭৫
১০. শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া। ৬২ ৪২.৭৫ ৬৪.২৫ ৩৪
১১. দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর। ৫৮.৭৫ ৩৯ ৬২.২৫ ৩৯.২৫
১২. বেগম খালেদ জিয়া মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা ৬৩.৫ ৫৯.৫ ৬৭.২৫ ৬৩.৭৫
১৩. ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর। ৬০ ৪১.৫ ৫৯.২৫ ৩৪.৫
১৪. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা। ৬২.৫ ৫১ ৬৯ ৪৬.৫
১৫. পাবনা মেডিকেল কলেজ, পাবনা। ৫৪.৫ ৩৬.২৫ ৫৮.৭৫ ৪৭.৭৫
১৬. নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী। ৬০.৭৫ ২৬.৫ ৫৬.৭৫ ৪২
১৭. কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার। ৫৯.৭৫ ৩১.৭৫ ৫৭.২৫ ৪২.২৫

বিঃদ্রঃ মেধানুসারে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৫৩.৫। এর চেয়ে কম স্কোরগুলো হলোঃ জেলা কোটা, উপজাতীয় কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চান্সপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী।

দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ বর্তমানে ৩টি , এগুলো হলোঃ (১) ঢাকা ডেন্টাল কলেজ,(২) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট এবং (৩) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট। মোট আসন সংখ্যা ২১০টি। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ = ৯৫টি, চট্টগ্রাম ডেন্টাল ইউনিট= ৫০টি এবং রাজশাহী ডেন্টাল ইউনিট = ৫০টি এ ছাডা উপজাতীয় প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৫টি আসন ও মুক্তিযুদ্ধার সন্তান্দের#2480;  <জন্য আরও ১০টি আসন সংরক্ষিত থাকবে।

বিঃদ্রঃ সাধারণত প্রতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টের পর ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সকল তথ্য ২০১৭ সালের নিয়মানুসারে 
বিদিবিএস