চার জোড়া আপন ভাই সংসদে

একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছেন চার জোড়া আপন ভাই। তারা হলেন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও জিএম কাদের, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান এবং শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েল।

হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও জিএম কাদের (লাঙ্গল-লাঙ্গল)

এরশাদ ছিলেন সাবেক সেনা প্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অবর্তমানে তাঁর ভাই জিএম কাদেরই হবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে দলের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি এই আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৪৩ ভোট পান এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ৮১ হাজার ৩৯৯টি ভোট পেয়েছেন।

লিটন-নিক্সন (নৌকা-সিংহ)

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে টানা ষষ্ঠবারের মতো নৌকা প্রতীকে বিজয়ী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।

নিক্সন ও লিটন সাবেক সংসদ মরহুম ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন নৌকা প্রতীকে ২লাখ ২৭ হাজার ৪৫৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা জাফর আহম্মদ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩৬ ভোট। এছাড়া এ আসনে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট।

শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েল (নৌকা-নৌকা)

শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল খুলনা-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। এই আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১ লাখ ১২ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ২৭ হাজার ৩৭৯ ভোট।

বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল বাগেরহাট-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মো. শেখ মাসুদ রানা পান ১১ হাজার ৪৮৫ ভোট।

শামিম ওসমান ও সেলিম ওসমান (নৌকা-লাঙ্গল)

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম ওসমান নৌকা প্রতীকে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১শত ৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী (জমিয়তে ইসলাম) মুফতি মনির হোসেন কাসেমী ৭৬ হাজার ৫শত ৫২ ভোট পেয়েছেন।

নারায়নগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমান ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আকরাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩৫২ ভোট। নারায়নগঞ্জ-৫ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৬ জন। মোট কেন্দ্র ১৭১টি। তাদের বাবা এ কে এম শামসুজ্জোহা সংসদ সদস্য ছিলেন।